রাজ্যসভায় দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে দেওয়া আসনে তাঁকে পাঠিয়ে আগেই মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পথসভা চলাকালীন মঞ্চে ডেকে তাঁর হাতে মাইক হাতে তুলে দিয়ে পোডিয়ামের দিকে এগিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই ভাবেই মাঠে-ময়দানের রাজনীতিতেও হাতেখড়ি হল অবসরপ্রাপ্ত আমলা জহর সরকারের। ফেসবুকে সেই মূহূর্তটির কথা লিখেছেন জহরবাবু।
প্রসঙ্গত, প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকারকে সম্প্রতি তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছেন মমতা। ৩৫ বছরের আমলা জীবন শেষে রাজনীতিতে আসার কারণ হিসাবে জহরবাবু বারে বারেই বলেছেন, দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের মাথায় বিজেপির মতো একটি দল এবং নরেন্দ্র মোদীর মতো মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে না থাকলে হয়তো রাজ্যসভায় যাওয়ার প্রস্তাবে সায় দিতেন না।
শুক্রবার ভবানীপুরে শম্ভুনাথ পণ্ডিত রোডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার সভার ভাষণেও প্রায় সেই কথাই আবার বললেন এই প্রাক্তন আমলা। তাঁর বক্তব্য, ধর্মনিরপেক্ষতা বিপন্ন। মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এই সময় মুখ বুজে থাকা যায় না। তাঁর আরও বক্তব্য, দেশে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আছেন নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী, যিনি বিজেপিকে মুখের ওপর জবাব দিতে পারেন। আর কারও সে সাহস নেই।
শুধু তাই নয়। ভবানীপুরের পথসভায় বিজেপিকে দানবিক শক্তি আখ্যা দিয়েছেন জহর সরকার। তিনি বলেন, এরা দেশ ও দেশবাসীকে গ্রাস করতে চায়। এই পরিস্থিতি বদলে দেশে গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রেকর্ড ভোটে জিতিয়ে দেশে নজির গড়ারও ডাক দেন দলের এই নয়া সৈনিক।