খেলা তো শুরুই হয়নি, খেলা হবে দিল্লীতে। বৃহস্পতিবার সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে গিয়ে ঠিক এই ভাষাতেই দিল্লী জয়ের ডাক দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সামসেরগঞ্জ ফিল্ড ময়দানে আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘খেলা তো শুরুই হয়নি, খেলা হবে দিল্লীতে।’ তাঁর হুঙ্কার, ‘যেখানে যেখানে বিজেপি সরকার আছে, সেই রাজ্যগুলিতে গিয়ে জোড়াফুল প্রতিষ্ঠা করব। বিকল্প হিসাবে তৃণমূলের আশেপাশে কেউ নেই। ত্রিপুরা-অসমে খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। ভাঙা পা নিয়েই ২১৩ আসন জিতেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত অর্থবল, এত ক্ষমতা নিয়েও ভয় পাচ্ছেন কেন?’
আচ্ছে দিনের প্রসঙ্গ তুলে এদিন মোদী সরকারকে তুলোধনা করেন অভিষেক। বলেন, ‘সব বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে। রান্নার গ্যাস, পেট্রোল-ডিজেলের দাম দেখুন। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম দেখুন। এই আচ্ছে দিনের নমুনা! মুর্শিদাবাদ থেকে ২৪ লক্ষ মানুষ দুয়ারে সরকারে নাম লিখিয়েছেন। দুয়ারে রেশনের পাইলট প্রজেক্ট চালু হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সমস্ত মহিলার হাতে মাসিক আয় তুলে দিয়েছেন। দুয়ারে ভাষণ নয়, দুয়ারে রেশন চেয়েছিলেন, তাই হবে, অতি শীঘ্রই। এটাই পার্থক্য বহিরাগত বনাম বাংলার মেয়ের প্রতিশ্রুতিতে। যা কথা দেওয়া হয়, তাই হচ্ছে। ডবল ইঞ্জিন সরকার মানে, এখানেও চুরি করবে, দিল্লীতেও চুরি করবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গল ইঞ্জিনেই কামাল করে দিয়েছেন।’
সিবিআই-ইডির মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তাঁকে ভয় দেখানো যাবে না বলেও এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ডায়মণ্ডহারবারের সাংসদ। তিনি বলেন, ‘৫০০ নোটিশ দিলেও মাথা নত করব না।’ অন্যদিকে, এদিন অধীর চৌধুরীর গড়ে দাঁড়িয়ে কংগ্রেসকেও বিঁধেছেন অভিষেক। নাম না করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, ‘সিপিএমের সঙ্গে গোপন আঁতাত করেছেন আপনারা, হেরে যাবেন। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস হারবে আর তৃণমূল হারাবে।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘বহরমপুরের সাংসদকে তো ভোটে নির্বাচিত করেছেন। তারপর থেকে তাঁকে কাছে পেয়েছেন? তৃণমূলকে জেতালে অনেক কাজ পেতেন। এই জেলায় ২০টি আসনে জিতেছে তৃণমূল। বাকি দু’টিতেও জিততে হবে। আপনারা আমাদের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জেতান।’