হাতে আর মাত্র এক সপ্তাহ। তারপরই মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্র – সামশেরগঞ্জ, জঙ্গিপুরে বিধানসভা ভোট। এই দুই কেন্দ্রের প্রার্থীদের মৃত্যুতে গত মার্চ-এপ্রিলে রাজ্যের বাকি বিধানসভা আসনগুলির সঙ্গে ভোট হতে পারেনি। তাই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ৩০ সেপ্টেম্বর এই দুই জায়গায় ভোট হবে। সেই লড়াইকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদ গিয়েছেন প্রচারের কাজে। সামশেরগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী আমিনুল ইসলামের হয়ে প্রচারের শুরুতেই তিনি সরাসরি বিঁধলেন কংগ্রেসকে। নাম না করে অধীর চৌধুরীকে আক্রমণ শানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সামশেরগঞ্জে ভোটের ঠিক আগ দিয়েই কংগ্রেস প্রার্থীকে নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। জেলা তৃণমূল সভাপতি খলিলুর রহমানের ভাই জইদুর রহমান প্রার্থী করা হলেও তিনি আচমকা বেঁকে বসেছিলেন। পরে তাঁকে বুঝিয়ে, অনুরোধ করে ফের রাজি করান অধীর চৌধুরী। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচারের সময় সেই ইস্যু না তুললেও কংগ্রেসকে আক্রমণের পথে হাঁটলেন। তাঁর শ্লেষ, ‘সিপিএমের সঙ্গে গোপন আঁতাত করেছেন আপনারা, হেরে যাবেন। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস হারবে আর তৃণমূল হারাবে’। এরপর নাম না করে অধীর চৌধুরীকে তোপ দেগে জনগণের উদ্দেশ্যে তাঁর প্রশ্ন, ‘বহরমপুরের সাংসদকে তো ভোটে নির্বাচিত করেছেন। তারপর থেকে তাঁকে কাছে পেয়েছেন? তৃণমূলকে জেতালে অনেক কাজ পেতেন। এই জেলায় ২০টি আসনে জিতেছে তৃণমূল। বাকি ২ টিতেও জিততে হবে। আপনারা আমাদের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জেতান’।
এরপর অবশ্য স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে অভিষেক বিজেপি বিরোধিতার অস্ত্রে শান দিতে শুরু করেন। বলেন, ‘রাজনৈতিক লড়াইয়ে আমাদের সঙ্গে পেরে ওঠে না। তখন এজেন্সি লেলিয়ে দেয় আমাদের ভয় দেখাতে। কিন্তু কোনও ভয় দেখিয়ে, ধমকে-চমকে আমাদের মাথা নত করা যাবে না। বরং আমরা আরও মাথা উঁচু করে দাঁড়াব। আর বিজেপির অনেকে আমাদের দলে আসার জন্য পা বাড়িয়ে আছেন। বলেছিলাম, ভোটের পর খেলা শুরু হবে। আমরা দরজা খুলে দিলে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে’। অভিষেক আরও বলেন, ‘বহিরাগতদের বাংলায় কোনও স্থান নেই। আগামী ৩ বছরের মধ্যে বহিরাগতদের উৎখাত করবই’।