একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর থেকেই বাংলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি গোটা জঙ্গলমহল জুড়ে রীতিমতো তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে বিজেপির সংগঠন। অনাস্থা ভোটে হারিয়ে ফের বিজেপির দখলে থাকা বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতি ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। পঞ্চায়েত সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি হলে তৃণমূলের ক্ষুদিরাম কৈবর্ত্য।
এদিন বাঘমুন্ডি ব্লক সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা ২১ টি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাঘমুন্ডি পঞ্চায়তে সমিতিতে তৃণমূল পায় ৬ টি আসন, ৫ আসন জেতে কংগ্রেস, বিজেপি ৯টি আসনে জয় লাভ করে। ১ টি আসন পায় ফরওয়ার্ড ব্লক। পঞ্চায়েতে সমিতিতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন বিজেপির কার্তিক চালক। কয়েকদিন আগে বিজেপির এক সদস্য মারা যান। পাশাপাশি ৩ ভাজপার নির্বাচিত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করে। কংগ্রেস ছেড়েও ৩ সদস্য তৃণমুলে যোগদান করে। ফলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় ১২ টি আসন। তৃণমূলের সদস্যরা মিলে বিজেপির পঞ্চায়েতে সমিতির সভাপতি বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন। ভোটে ফল দাঁড়ায় ১৩ – ৪। একজন বিজেপি সদস্য অনাস্থার পক্ষে ভোট দেন।
প্রসঙ্গত, ৬ই সেপ্টেম্বর এই ফলাবলছর পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চায়েতে সমিতির সভাপতি থেকে অপসারিত হয় কার্তিক চালক। এরপরেই অনাস্থাকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। প্রথমে বোর্ড গঠন স্থগিতাদেশ দিলেও পরে স্থগিতাদেশ উঠে যায়। বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া এতদিন আটকে ছিল বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতিতে। এরপরেই বুধবার বোর্ড গঠন করে তৃণমূল।