দারিদ্র দূর করতেই নাকি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে হাত দিতে চেয়েছিল মোদী সরকার। এমনই যুক্তি শোনালেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। এটাকে যুক্তি না বলে অবশ্য অজুহাত বলাই ভালো। জেটলির কথায়, ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ভাঁড়ারে যা আছে তার থেকে কিছু অর্থ দারিদ্র দূরীকরণের কাজে লাগানো যেতেই পারে। এ কথা সত্যিই যে বিপদের দিনের জন্য কিছু সঞ্চয় রাখা উচিৎ। তবে এখনই তো সেই দিন’।
তবে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য সরকারি প্রকল্পগুলি কী করছে, সেই প্রসঙ্গ এড়িয়েই গেলেন অর্থমন্ত্রী।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে ঝাঁপি উপুড় করতে বলে সদ্য উর্জিত প্যাটেলের নেতৃত্বাধীন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছে কেন্দ্র। শেষ পর্যন্ত এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার কথা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে উর্জিত প্যাটেলেরা। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই সরকারের হয়ে আবারও সওয়াল করলেন জেটলি।
সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের স্বাতন্ত্র্যে হস্তক্ষেপ করছে, এই অভিযোগ খণ্ডন করে জেটলি বলেন, ‘সরকার লক্ষণরেখা অতিক্রম করেনি। সরকার জানে কোথায় থামতে হয়’।
বাজারে নগদ টাকার জোগান এবং কিছু ক্ষেত্রে বকেয়া ঋণের সমস্যা আছে। সেই সব সমস্যার সুরাহার জন্যই আরবিআই আইনের ৭ নম্বর ধারাকে কাজে লাগাচ্ছে কেন্দ্র এমনই বক্তব্য অর্থমন্ত্রীর। জেটলির কথায়, ‘অর্থনীতিতে নগদ টাকার জোগান বাড়াতে যা যা ধারা কাজে লাগানো যায়, তাই লাগানো হচ্ছে’।
এদিন সিবিআই নিয়েও মুখ খুলেছেন জেটলি। সিবিআই-এর মতো স্বাধীন সংস্থায় অযথা নাক গলাচ্ছে কেন্দ্র, এই অভিযোগ উড়িয়ে সরকারের হস্তক্ষেপকে ‘পরিশোধন ব্যবস্থা’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি।