আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেবের মেয়ে তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেবকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। সোমবার বিধানসভায় গিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন তিনি। জানিয়ে দিলেন, তাঁর টার্গেট এখন ত্রিপুরা। ওখানকার বিপ্লব দেব সরকারের মুখোশ খোলাই এখন একমাত্র কাজ তাঁর। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই মহিলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভানেত্রী বলেছিলেন, “আমি সংগঠনের লোক। ওটাই আমার ধ্যানজ্ঞান।” এদিন মনোনয়ন জমা দিয়ে সন্তোষ-কন্যা বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, যতদিন না ত্রিপুরার মাটিতে মা-মাটি-মানুষের সরকার তৈরি হচ্ছে ততদিন মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে হবে।
প্রতিটি কথায় শিলচরের ভূমিকন্যা বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন, ২০২৩-এ হতে চলা ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনকেই পাখির চোখ করতে চলেছেন তিনি। প্রয়াত সন্তোষমোহন দেব একাধিকবার ত্রিপুরা থেকে সাংসদ হয়েছিলেন। বাবার সঙ্গে ছোট থেকেই ত্রিপুরা যেতেন সুস্মিতা। তা ছাড়া, অসমের শিলচর এবং ত্রিপুরা একেবারে গায়ে গায়ে। উত্তর-পূর্বের রাজ্যটি সম্পর্কে তাঁর সম্যক ধারণাও রয়েছে বলে অনেকের মত। তাঁদের বক্তব্য, সে কারণেই দলে টেনে সুস্মিতাকে রাজ্যসভায় পাঠাল তৃণমূল। যাতে উত্তর-পূর্বের রাজনীতিতে একটা বার্তা দেওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালেই টুইট করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন, রাজ্যসভার উপনির্বাচনে বিজেপি কোনও প্রার্থী দেবে না। কারণ ফলাফল নিয়ে একবারেই আশাবাদী নয় পদ্মশিবিরে। ফলে সুস্মিতা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার সাংসদ হতে চলেছেন। স্ক্রুটিনি হয়ে গেলেই সংসদের উচ্চকক্ষে যাওয়ার সার্টিফিকেট পেয়ে যাবেন তিনি। এদিন সুস্মিতা বলেন, “ত্রিপুরায় কেউ বলতে পারবে না, তৃণমূল কংগ্রেস হিংসা চালিয়েছে। কিন্তু এটা সবাই দেখেছেন ওখানকার শাসক দল বিজেপি আমাদের কর্মীদের উপর কী নারকীয় সন্ত্রাস করেছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতেও হামলা হয়েছে।” মঙ্গলবার তিনি ফের ত্রিপুরা যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সুস্মিতা। বুধবার আগরতলা যেতে পারেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।