শনিবারের বারবেলায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সে দিনই জানিয়েছিলেন সোমবার যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এদিন নবান্নে গিয়ে বাবুল দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা তথা জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং তৃণমূলের সর্ববভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ব্যাপক বৃষ্টিতে সোমবার ভাসছে কলকাতা। তার মধ্যেই নিজে গাড়ি চালিয়ে এদিন নবান্নে আসেন বাবুল। সঙ্গে ডেরেক ও অভিষেক। মুখ্যমন্ত্রী ঘরে বসে দুজনের মধ্যে আধঘণ্টা মতো কথাবার্তা হয়। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ।
নবান্ন থেকে বেরিয়ে এ প্রসঙ্গে বাবুল বলেন, ‘আমি আজ খুশি। দিদির ভালবাসা, উষ্ণ অভ্যর্থনায় আমি আপ্লুত। মন খুলে কাজ করতে পারব’। তিনি জানান, গান নিয়েও কথা হয়েছে ‘দিদি’র সঙ্গে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে গান করতে বলেছেন বলেও জানান তিনি। তবে কী গান তিনি করবেন তা খোলসা করেননি বাবুল। বলেন, ‘দিদি যে গান গাইতে বলবেন তাই গাইব’। পাশাপাশি এদিন আরও একবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
তবে তৃণমূলে তাঁর ভূমিকা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন বাবুল। বলেন, ‘দলে আমার কী ভূমিকা হবে সেটা সম্পূর্ণ দিদির এক্তিয়ার। উনি যখন ঠিক মনে করবেন তখন বলবেন’। সংবাদমাধ্যমকে বাবুল বলেন, ‘আমার মনে হয় আমি মন খুলে কাজ করতে পারব। মন ভরে গান করতে পারব’।
রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বাবুল বলেছিলেন, তিনি প্লেয়িং ইলেভেনে থাকতে চান। বিজেপি তাঁকে রিজার্ভ বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছে। তাই এখন তিনি তৃণমূলের হয়েই খেলবেন।তবে নবান্নে পৌঁছতেই সকলের কৌতূহল মমতা তাঁকে কি খাওয়াবেন? কয়েক বছর আগে মমতার গাড়িতে বসে ঝালমুড়ি খাওয়া এবং কলকাতায় চক্কর কাটার গল্প সর্বজনবিদিত। এদিন নবান্নে কি খাইয়েছেন তা জানা না গেলেও বাবুলকে মমতা মুড়ি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। বাবুল নিজেই বলেছেন, ‘দিদি ইউরিয়া ছাড়া মুড়ি খেতে বলেছেন’। অর্থাৎ ঝালমুড়ির সেই বৃত্ত সম্পূর্ণ হল।