করোনার হানায় যখন ত্রস্ত গোটা দেশ। পুরোদমে মারণ ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ের আছড়ে পড়া সময়ের অপেক্ষামাত্র। তখন অজানা জ্বর ছড়াচ্ছে উত্তরপ্রদেশে। সেখানে এখন চারিদিকেই কেবল রোগীর ঢল। কারোর ধুম জ্বর, কারোর আবার খিঁচুনি হচ্ছে। রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই আবার শিশু। এই পরিস্থিতিতে যোগীরাজ্যের কানপুর নগর জেলার কুরসৌলি গ্রামের মানুষরা দলে দলে পালিয়েছেন। কারণ ইতিমধ্যেই সেই গ্রামে ১২ জনের প্রাণ গিয়েছে অজানা জ্বরে। কয়েকটি বাড়িতে কেবল রয়ে গিয়েছেন পুরুষরা। মহিলা ও শিশুদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বেশির ভাগ বাড়িই তালাবন্দি।
প্রসঙ্গত, গত ২০ আগস্ট এক ১৪ বছরের কিশোরীর মৃত্যু হয় জ্বরে আক্রান্ত হয়ে। সেই শুরু। তারপরেই গ্রামজুড়ে শুরু হয় জ্বরের প্রকোপ। খবর আসে একের পর মৃত্যুর। যেমন মৃত্যু হয়েছে গ্রামের প্রধান অমিত কুমারের কাকিমা গীতার। ৪০ বছর বয়সি গ্রামপ্রধানের কথায়, ‘বাড়িতে আমার স্ত্রী ও সন্তানরা নেই। অন্য আত্মীয়দের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি সকলকে। কিন্তু আমাকে থেকে যেতে হয়েছে গৃহপালিত মোষগুলির সেবা করার জন্য। যদি গবাদি পশু ও চাষবাসের ব্যাপারটা না থাকত, গ্রাম এতদিনে একেবারে জনশূন্য হয়ে পড়ত। এমন একটাও বাড়ি নেই যেখানে কেউ ওই অজানা জ্বরে আক্রান্ত হননি। তাই অনেকেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।’