বিশ্বভারতীর উপাচার্য নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই একাধিক বার বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে একাধিক অভিযোগ। এমনকী হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। এবার বেফাঁস মন্তব্য করে ফের বিতর্কে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান এবং আধিকারিককে নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন উপাচার্য। সেখানেই বিতর্কিত কথা বলার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অনুব্রত মণ্ডলের নাম না করে তাঁকে ‘বাহুবলী’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, অনুব্রতের জন্যই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ থানায় বিভিন্ন চুরির বিষয়ে অভিযোগ জানাতে পারছেন না। অনুব্রত ছাড়াও বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের ‘চোর, ধান্দাবাজ’ বলেছেন উপাচার্য।
বৈঠকে বিদ্যুৎ জানিয়েছেন, অনুব্রতের জন্য বিঘ্নিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তাঁর বক্তব্য, বিশ্বভারতীর নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা থানায় অভিযোগ করতে নিষেধ করেন কর্তৃপক্ষকে। কারণ অনুব্রতের কাছে নাম চলে গেলে তাঁরা এলাকায় টিকতে পারবেন না বলে দাবি উপাচার্যের। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ে চুরি আটকাতে ভবনগুলিকেই দায়িত্ব নিতে হবে বলেও জানিয়ে দেন তিনি। অভিযোগ, ওই বৈঠকে বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের চোর, ধান্দাবাজ বলেছেন উপাচার্য। এক অধ্যাপকের চাকরি তাঁর ‘দয়ায়’ হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। বিশ্বভারতীর সঙ্গীত ভবনে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র চুরির প্রসঙ্গ তিনি বলেছেন, ‘সঙ্গীত ভবনে বিখ্যাত কীর্তনিয়া সুমন ভট্টাচার্যের চাকরি হয়েছে আমার জন্য। তাঁকে সঙ্গীত ভবনের অন্যান্য অধ্যাপক, অধ্যাপিকারা পছন্দ করতেন না।’ স্বাভাবিকভাবে উপাচার্যের মন্তব্য ঘিরে ছড়িয়েছে বিতর্ক।