ঘরের মাঠেও নজিরবিহীন প্রচার পরিকল্পনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজপথ থেকে পাড়ার মোড়। চুটিয়ে সভা করতে চলেছেন তৃণমূল প্রার্থী। ভবানীপুর জয়ের ভার নিজের কাঁধেই রাখছেন শাসক দলের কাণ্ডারী। সে কারণেই ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ম্যারাথন প্রচার চালাবেন ভবানীপুর কেন্দ্রে। শুধু মমতা একাই নন, তাঁর হয়ে এবার প্রচারে নামছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শনিবারই তাঁর সেই প্রচার কর্মসূচি রয়েছে।
একুশের সাধারণ নির্বাচনের পর ফের হাই ভোল্টেজ উপনির্বাচন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং লড়ছেন এই ভোটে। উপনির্বাচনের ফলাফলের উপরই নির্ভর করছে বাংলায় মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে আগামী পাঁচ বছর কে থাকবেন। ইতিমধ্যেই জোর কদমে উপনির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। নিয়মিত প্রচারে নামছেন কলকাতার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। সুব্রত মুখোপাধ্যায়, কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবাশিস কুমাররাও নিয়মিত ময়দানে। ভবানীপুরে ‘ঘরের মেয়ে’কে জেতাতে কোনও খামতি রাখছে না দল।
আগামী সপ্তাহে টানা সভা করবেন তিনি। ২১ সেপ্টেম্বর একবালপুরের ইব্রাহিম রোডে সভা রয়েছে তাঁর। ২২ সেপ্টেম্বর চেতলার অহিন্দ্র মঞ্চে প্রচার সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৩ সেপ্টেম্বর থাকবেন চক্রবেড়িয়া উত্তর ও পদ্মপুকুর রোডের সংযোগস্থলের সভামঞ্চে। ২৫ সেপ্টেম্বর দু’টি সভা রয়েছে তাঁর। একটি কলিন লেনে। দ্বিতীয়টি শেক্সপিয়র সরণী থানার সামনে। পরদিন ২৬ সেপ্টেম্বর নিজের পাড়া হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের মুখে একটি সভা করবেন মমতা। এটিই সম্ভাব্য উপনির্বাচনের শেষ প্রচার সভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
অন্যদিকে শনিবার থেকেই দলনেত্রীর হয়ে প্রচার শুরু করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা পুরসভার ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে সভা রয়েছে তাঁর। উল্লেখযোগ্য ভাবে, এই ওয়ার্ড ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আওতাধীন নয়। এটি বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। অর্থাৎ এই কেন্দ্রের বিধায়ক সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তবে এই ওয়ার্ডটি একেবারে ভবানীপুরের লাগোয়া। কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন অভিষেক? তৃণমূল সূত্রে খবর, কোভিড বিধিকে মান্যতা দিতেই এই সিদ্ধান্ত তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। সূত্রের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় ভিড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। ভোটের মুখে নতুন করে কোনও বিতর্ক হোক তৃণমূল তা চাইছে না।