গুজরাত সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গাড়িতে গোমাংস নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়েছিল কাসিম আবদুল্লা হায়াতকে। কিন্তু তাঁকে পরদিন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করার আগেই জেলে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন হায়াত। পঞ্চমহল থানার ডিএসপি লীনা পাতিল বলেছেন, বুধবার সন্ধ্যায় এফআইআর দায়ের করা হয়। পরদিন সকাল হওয়ার আগে অভিযুক্ত আত্মহত্যা করেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তিনি বেডশিট ছিঁড়ে গলায় ফাঁস দিয়ে লক আপের দরজায় ঝুলে পড়েন।
ম়ৃতের আত্মীয়ের দাবি, তিনি তাঁর সঙ্গে থানায় দেখা করেছিলেন। তিনি বলেন, তখন ও আমায় বলেছিল, ওকে পুলিশ মারধর করে স্বীকারোক্তি আদায় করে যে, ও গোমাংস নিয়ে যাচ্ছিল। ও আমায় বলে, ওর ভাইকে এটা জানাতে। ওই আত্মীয়ের দাবি, পরদিন সকালে থানায় গেলে কেউ তাঁকে জানায়নি, হায়াত মারা গিয়েছে। পুলিশ তাঁকে থানায় ঢুকতে নিষেধ করেও বলে দাবি করেন হায়াতের সেই আত্মীয়। বলেন, থানার ভিতর থেকে কেউ আমাদের জানায়, আগের রাতে হায়াতের ওপর অত্যাচার করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, এফআইআরে বলা হয়েছে, পুলিশ সূত্র মারফত খবর পায়, হায়াত নিজের দুচাকার যানে গোমাংস নিয়ে যাচ্ছেন। সেভালিয়া থেকে গোধরা যাওয়ার রাস্তায় পুলিশ তাঁর যান আটকায়। তল্লাসিতে দেখা যায়, সত্যিই গাড়িতে গোমাংস আছে। গাড়ির মালপত্র রাখার জায়গায় গরুর অঙ্গপ্রতঙ্গ, গলার কিছুটা অংশ পাওয়া যায়। যদিও অভিযুক্ত বিবৃতিতে দাবি করেন, তিনি কসাইয়ের কাছ থেকে মাটন নিয়ে যাচ্ছিলেন ঈদগা মোহল্লার পাঁচজনকে দেওয়ার জন্য। তবে গলার অংশটি সম্ভবতঃ গোহত্যা করে নেওয়া হয়েছে, এহেন সন্দেহেই পুলিশ যানটি বাজেয়াপ্ত করে।