চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে প্রাথমিক টেট এর ফল? তেমনটাই খবর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে। মোট আড়াই লক্ষ পরীক্ষার্থীর আবেদন করেছিলেন প্রাথমিকের টেটের জন্য। ২০১৭ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ৩১ জানুয়ারি এই পরীক্ষা নিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে হওয়ার সম্ভাবনা।
প্রসঙ্গত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য আগেই জানিয়েছিলেন, পুজোর আগেই ফল প্রকাশ করা হবে। সে ক্ষেত্রে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ফল প্রকাশ করতে গেলে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন বলে মত স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের একাংশের। তাই সেই বিষয়টিও ভাবাচ্ছে পর্ষদের আধিকারিকদের বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে প্রশ্ন ভূল মামলা নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাই টেটের ফল প্রকাশ নিয়ে নতুন করে কোনও অস্বস্তি বা বিতর্ক চাইছে না পর্ষদ ও স্কুল শিক্ষা দফতর। তার জেরে গত ৩১ জানুয়ারি নেওয়া প্রাথমিকের টেটের ‘চূড়ান্ত উত্তরপত্র’ আপলোড করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই খসড়া উত্তরপত্র প্রকাশ করেছিল পর্ষদ। সাত দিনের মধ্যে প্রার্থীদের মতামত চেয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ খসড়া উত্তরপত্র নিয়ে। সেই উত্তর আসার পর বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়ার পরেই চূড়ান্ত উত্তরপত্র প্রকাশ করেছে পর্ষদ এমনটাই দাবি পর্ষদের আধিকারিকদের। সে ক্ষেত্রে কয়েকটি উত্তর সংশোধন হয়েছে বলেই দাবি প্রার্থীদের একাংশের। যদিও তা খারিজ করেনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরাও।
প্রকাশিত চূড়ান্ত উত্তরপত্রে দেখা গেছে, কয়েকটি প্রশ্নে এবারও বিভ্রান্তি ছিল। যার জেরে ৬টি প্রশ্নের উত্তরে দুটি করে অপশন দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ওই দুটি অপশনের মধ্যে যেকোনও একটি অপশন দিলেই তাকে পুরো নম্বর দেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবেশ বিজ্ঞানের একটি প্রশ্নই ভুল ছিল। চূড়ান্ত উত্তরপত্রে তা স্বীকার করে নেওয়ার পাশাপাশি পর্ষদ জানিয়েছে ওই প্রশ্নের উত্তর লিখলেই পুরো নম্বর পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে ২০১৪ টেটের পুনরাবৃত্তি চাইছে না এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তার জেরেই আগেভাগেই উত্তরপত্র আপলোড করে পর্ষদ তার অবস্থান স্পষ্ট করলো বলেই মনে করা হচ্ছে।