এবার খাদান থেকে তোলা বালি এবার নিজেই বিক্রি করবে রাজ্য সরকার। পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে বালি কেনার আবেদন করা যাবে। সেই মতো তা পৌঁছে যাবে ক্রেতার কাছে। বালি তোলায় যেমন থাকছে কড়া নজরদারি, তেমনই তা পরিবহণ করার ক্ষেত্রেও জিপিএস ট্র্যাকিং থাকবে। ফলে খাদান থেকে বালি তোলা, গুদামজাত করা, পরিবহণ এবং তা ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার পুরো বিষয়টাই হবে অনলাইনে। আর এ নিয়ে বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে থাকছে ২৪x৭ কন্ট্রোল রুমও। বালির মতো ‘ব্ল্যাক স্টোন’ উত্তোলনও এবার মাইনিং অ্যান্ড মিনারেলস ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের ছাতার তলায় আনা হচ্ছে বলেই সরকারি সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, বুধবার নবান্নে ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন বোর্ডের বৈঠক হয়। রাজ্যে শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যে যাবতীয় সমস্যার সমাধান দ্রুত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই বোর্ডের বৈঠকে ছিলেন অর্থ, শিল্প, বিদ্যুৎ-সহ বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীরা ছিলেন। বৈঠকের পর মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, অবৈধভাবে বালি তোলা থেকে অন্যান্য ক্ষেত্রে একদিকে যেমন পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হত, তেমনই রাজ্য সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্বেরও ক্ষতি হত। মুখ্যমন্ত্রী তাই আগেই এর জন্য বিস্তারিত পরিকল্পনা করেন। পুরো বিষয়টি দেওয়া হয় মাইনিং অ্যান্ড মিনারেলস ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের হাতে।
এর আগে, ২০১৬ সালে একটি নীতি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কিছু বদল আনা হয়েছে। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, এবার থেকে বালি খাদানের নিলাম হবে অনলাইনেই। ইতিমধ্যেই তার জন্য পোর্টালও তৈরি হয়ে গিয়েছে। বালি বিক্রিও থাকবে রাজ্য সরকারের হাতেই। মুখ্যসচিবের বক্তব্য, “বালি খাদান পুরোটাই মাইনিং অ্যান্ড মিনারেলস ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের সম্পত্তি। তাই রাজ্য সরকার তা বিক্রি করবে। সেই বিক্রি হবে পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে। কেউ তা চাইলে পোর্টালেই আবেদন করবেন। বালি সেখানে পৌঁছে দেওয়া হবে।” তিনি আরও জানান, কোথা থেকে কোথায় বালি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তার উপর নজর রাখা হবে সেই লরিতে লাগানো জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে। বালি কারা তুলবে এ বিষয়ে ১৩ই অক্টোবর টেন্ডার ডাকা হবে। পুজোর পরই সম্পূর্ণ অনলাইনে বালি তোলা, লরির চালান কাটা, বালি পরিবহনের যাবতীয় ব্যবস্থা হবে অনলাইনে। এর ফলে দুর্নীতি যেমন আটকানো যাবে, তেমনই রাজস্ব ক্ষতিও ঠেকানো যাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।