ত্রিপুরার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক দোলাচল নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব ৷ ত্রিপুরায় বিজেপি ও সিপিএমের মধ্যে ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ হয়েছে বলে বুধবার দাবি করেন তিনি ৷ তিনি বলেন, গত ৩ বছরে বিজেপি শাসন কালে বামেদের ওপর কোনও আক্রমণ আসেনি ৷ তবে ভোটের আগেই কেন বিজেপির হাতে আক্রান্ত হচ্ছে সিপিএম? প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেত্রী ৷ পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক জাতীয় স্তরের নেত্রী বলে দাবি করে তিনি৷ রাজ্যসভায় তাঁকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ বলেও জানান সুস্মিতা৷ তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসে রাজ্যসভা ও লোকসভাতে সবচেয়ে বেশি মহিলা সদস্য আছে। আগামীদিনে উত্তর-পূর্বে তৃণমূলের শক্তি যাতে আরও বাড়ে সেই দিকে আমি নজর রাখব।”
আগামী ২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচন ত্রিপুরায়৷ উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে রয়েছে ৬০ টি বিধানসভা আসন৷ ২০২১ বাংলায় বিরাট জয়ের পর ত্রিপুরাকেই এবার পাখির চোখ করে ঘুঁটি সাজাচ্ছে ঘাসফুল শিবির৷ এছাড়াও আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও ত্রিপুরার ২ টি লোকসভা আসন দখল করতে মরিয়া তৃণমূল৷ আঞ্চলিক দল থেকে জাতীয়স্তরের রাজনৈতিক দল হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ত্রিপুরাকেই যে মাইলস্টোন হিসেবে বেছে নিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ এই বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই রাজনৈতিক মহলের৷ সম্প্রতি ত্রিপুরাতে দলীয় কর্মসূচীতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দিল্লির বাদল অধিবেশনেও সরব হয়েছিলেন সৌগত রায়, ডেরেক ও’ব্রায়েনেরা৷ যার ফলে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়তে হয় পদ্মশিবিরকে৷ এবার সুস্মিতার ‘বাম-বিজেপি ম্যাচ ফিক্সিং’ ইস্যুতে ত্রিপুরার রাজনীতিতে কী মোড় আসে, তা দেখতেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।