গত ১ সেপ্টেম্বর একটি শিল্প কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তাঁর তৃতীয় সরকারের এখন একটাই লক্ষ্য, বাংলাকে শিল্পে সমৃদ্ধ করা। মমতা স্পষ্ট করেই সেই সভায় বলেছিলেন, শিল্প মানে শুধু বড় কারখানাই নয়। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশের কথাও উঠে এসেছিল তাঁর বক্তৃতায়। পরের দিন তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলা-ও প্রথম পাতায় শিরোনাম করেছিল, ‘মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, কৃষিতে সাফল্যের পর এবার চলবে শিল্পায়ন।’ যেমন কথা তেমন কাজ। সোমবার শিল্পের বিষয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নিল মমতার মন্ত্রিসভা। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০ একরের থেকে কম জমিতেও চাইলে বিভিন্ন সংস্থা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে তুলতে পারবে।
প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতিতে সারা দুনিয়ার অর্থনীতিই অধোগতির সম্মুখীন হয়েছে। ভারত বা বাংলা তা থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। এই পরিস্থিতিতে অত বড় জায়গায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ার ক্ষেত্রে কোনও সংস্থাই আগ্রহ দেখাবে না বলেই মনে করছে নবান্ন। সেই কারণেই সুবিধা মতো জায়গা বেছে সেখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করতে পারবে বিভিন্ন শিল্প সংস্থা। পর্যবেক্ষকদের মতে, যে নিয়ম শিল্পকে দূরে ঠেলে দেবে তা রেখে লাভ কী! হতে পারে নবান্ন বাস্তব পরিস্থিতি বুঝেই এই সিদ্ধান্ত নিল। নিয়মে ছাড় দিলে যাতে শিল্প আসে।
উল্লেখ্য, তৃতীয় মমতা সরকার যে শিল্পায়নকে পাখির চোখ করেছে তা আগেই বোঝা গিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে আবার শিল্প দফতর ফিরিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে শিল্প মহলের যোগ রয়েছে। পেশাগত ভাবেও তিনি একটি বাণিজ্য সংস্থায় দীর্ঘদিন উঁচু পদে চাকরি করেছেন। তা ছাড়া শিল্প পর্ষদ গড়েছে রাজ্য সরকার। যার মাথায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। গতকাল শিল্পের জন্য ট্রেড লাইসেন্স, জল, বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রেও সিঙ্গল উইন্ডো করে পদ্ধতি সরলীকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।