প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে দুই দলই। মাসের শেষেই উপনির্বাচন ভবানীপুরে। আর তা ঘিরেই জমে উঠেছে তৃণমূল-বিজেপির দ্বৈরথ। এদিন তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে চেতলায় বাড়ি বাড়ি প্রচার সারেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শনিবার ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে ‘ঘরের মেয়ে’-কে ফের জয়যুক্ত করার আবেদন জানান তিনি। একইসঙ্গে প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থীকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ বলেন, ‘ওঁর প্রতি শুভেচ্ছা রইল। কিন্তু দুঃখ যে জিততে পারবে না। বাচ্চা মেয়ে। জীবনের লড়াইয়ে শুভেচ্ছা তাঁর কাছে রইল।’
এদিকে, তৃণমূল জোরকদমে প্রচার শুরু করলেও, এখনও ময়দানে নামেনি বিজেপি। বরং ‘মুখেই মারিতং জগৎ’ মনোভাব দেখা যাচ্ছে তাদের। শনিবার যেমন নিমতৌড়িতে বিজেপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত একটি রক্তদান শিবিরে যোগ দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেছেন। তবে তার পাল্টা দিতেও কসুর করেনি শাসক দল। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘ওঁর বোঝা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১৩টি আসনে জিতেছেন। আর কোথায় আলো নিভিয়ে কী করেছে সে তো কোর্টে ফয়সালা হবে।’ শুভেন্দুর উদ্দেশে কটাক্ষের সুরে কুণাল আরও বলেন, ‘বাঘছাল পড়া বিড়াল যতই চ্যাঁচাক, ওটা হালুম হয় না, ওটা ম্যাঁও-ই শোনায়!’