একুশের ভোটকে পাখির চোখ করে গত বছর রাজ্যের গণেশপুজোর ময়দান কাঁপিয়েছিল গেরুয়া শিবির। তবে ভোটে ভরাডুবির পর এ বছর আর সিদ্ধিদাতার আরাধনায় তেমন আগ্রহ দেখায়নি তারা। ফলে গতবার যেখানে বিজেপি নেতাদের দাপট ছিল, সেখানে এ বার রাজ্যের শাসক দলই সক্রিয়।
শুক্রবার বিকেলে কুমোরটুলির শিল্পী বাবু পাল বলেন, ‘গণেশের বায়না ভালই! তবে গেল বার গেরুয়া উত্তরীয়ধারী পুজোকর্তাদের বেশি দেখেছি। তাঁরা উধাও।’ কয়েক বছর হল কলকাতার ওজনদার গণেশ হিসাবে নামডাক ছড়িয়েছিল সল্টলেকের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে মৈত্রী সঙ্ঘের পুজোর। সেই পুজোকর্তা, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া সব্যসাচী দত্ত এবার গণেশপুজোয় নেই। সব্যসাচীর পুজোর ঠাকুর গড়তেন কুমোরটুলির মহিলা শিল্পী কাঞ্চী পাল। তিনি বলছেন, ‘কই! দাদা তো গণেশের বায়না দেননি।’
সব্যসাচীর দাবি, ‘তৃণমূল পুজোটা দখল করেছে। গোবিন্দার মতো মুম্বইয়ের তারকাদের নিয়ে জলসা, কিছুই হচ্ছে না!’ সল্টলেকের স্থানীয় কোঅর্ডিনেটর সুপ্রিয় চক্রবর্তী বা পুজোকর্তা সৈকত ঘোষ দু’জনেই কিন্তু বলছেন, ‘পুজো ভাল হচ্ছে। কোভিড-বিধির মধ্যে জলসা তো হওয়া উচিতও নয়।’ সব্যসাচীবাবু পুজোয় নেই, সেটা ওঁর সমস্যা বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। এদিকে, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুও মানছেন, ‘বিজেপি কার্যকর্তাদের (কর্মকর্তা) উৎসাহ কমেছে। রাজ্যে ক্ষমতা দখলের স্বপ্নে গত বার কেন্দ্রীয় নেতাদের আনাগোনা লেগে থাকত।’