ভবানীপুরের উপনির্বাচনের প্রচারে নেমেই নন্দীগ্রাম বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, নন্দীগ্রামে খালি ছাপ্পা করেছে বিজেপি। কাউকে ভোট করতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূলকে হারানোর জন্য নিখুঁত পরিকল্পনা করা হয়েছে। আর সে পরিকল্পনা কে করেছে, সেটাও তিনি জানেন। মমতার অভিযোগ, তিনি ষড়যন্ত্রের বলি হয়েছেন।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর-সহ রাজ্যের তিন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। ভবানীপুর থেকে লড়ছেন তৃণমূল নেত্রী নিজে। এদিন নিজের কেন্দ্রে একটি কর্মিসভা করেন মমতা। সেখানেই তাঁর অভিযোগ, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে তাঁকে হারানোর জন্য সুপরিকল্পিতভাবে ছক কষেছে বিজেপি।মমতা বলেন, ‘মেশিনের পর মেশিন ভাঙা। প্রত্যেকটা বুথ অফিসার থেকে শুরু করে আইসি, সবাইকে বদলে দেওয়া হয়েছে। যে বুথে ৫০০ ভোট, সেখানে ভোট পড়েছে হাজারের বেশি। খালি ছাপ্পা করা হয়েছে, কাউকে ভোট করতে দেওয়া হয়নি। আমি বাধ্য হয়ে একটা বুথে গিয়ে নিজে ২ ঘণ্টা বসে ছিলাম। সেদিন কেউ আমার কথা শোনেনি। আমাকে হারাতে প্ল্যানিং করা হয়েছিল, কে করেছে আমি জানি। নির্বাচনে আমাকে আবার দাঁড়াতে হল ওঁদের ষড়যন্ত্রের জন্য’। মমতার অভিযোগ, নন্দীগ্রামের গণনার সময় ভিভিপ্যাট গোনা হয়নি। এমনকী ইভিএম নিয়েও তাঁর প্রশ্ন রয়েছে।
মমতার আক্ষেপ, আমি ওখানে লড়াই করতে গিয়েছিলাম সেটা তো আমার অপরাধ নয়। আমাকে ওঁরা অনুরোধ করেছিল, আমার একটা আবেগ ছিল সিঙ্গুরের প্রতি। আমি ষড়যন্ত্রের বলি হয়েছি। তবে আমরা সবাইকে নিয়ে পরিবারের মতো চলি। আমার জন্য শোভনদা ইস্তফা দিয়েছেন। উনিও খড়গপুর থেকে লড়বেন’। প্রসঙ্গত, ২ মে নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা করা ফলাফল অনুযায়ী নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, সেই ফলাফল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা।