লাল দূর্গের পতন ঘটিয়ে ত্রিপুরায় সরকার গঠন করেছিল বিজেপি। আর তারপর থেকে ক্রমশই সেখানে জমি হারাতে থাকে বামেরা। তবে তৃণমূল বিপ্লব রাজ্যে গেরুয়া শিবিরকে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া শুরু করতেই এবার তাদের দেখাদেখি গা ঝাড়া দিয়ে উঠেছে সিপিএম-ও। সোমবারই মানিক সরকারের কেন্দ্র ধনপুরে বিজেপিকে দৌড় করিয়েছিল তারা। এবার ফের সিপিএম-বিজেপি সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত ত্রিপুরা। সোমবার মানিক সরকারের বিধানসভা কেন্দ্র ধনপুরের পর বুধবার উদয়পুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে জখম হয়েছেন একাধিক।
একটি ভাইরাল ভিডিয়োয় হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে, সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ঝান্ডা মুড়ে সেই ডান্ডা দিয়ে এক বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে পেটানো হচ্ছে। এ নিয়ে বামেদের বক্তব্য, কাজের দাবিতে শান্তিপূর্ণ যুব আন্দোলনকে তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলে হামলার ছক করেছিল বিজেপি। কর্মীরা তার প্রতিরোধ করেছে। এক সিপিএম নেতা বলেন, প্রশাসন নীরব থাকার কারণেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসন চাইলে আগেই পারত বিজেপির জমায়েতকে সরিয়ে দিতে।
জানা গিয়েছে, এদিন কাজ সহ ১৪ দফা দাবিতে উদয়পুরে মিছিল ও সমাবেশ করার পরিকল্পনা ছিল ডিওয়াইএফআই ও টিওয়াইএফ-এর। উদয়পুরে সিপিএমের মহকুমা অফিসে জমায়েত হতে শুরু করেন বাম কর্মীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি পাল্টা জমায়েত করে। সিপিএম অফিসে ভিড় বাড়তে থাকায় বিজেপিও জমায়েত বাড়িয়ে দেয়।
একটা সময় সিপিএম দফতরের দুয়ারে পৌঁছে যান বিজেপি কর্মীরা। এরপরেই পার্টি অফিস থেকে সিপিএমের জমায়েত রাস্তায় নেমে আসে। তাড়া করে বিজেপির লোকজনকে। একজন বিজেপি কর্মীকে একা পেয়ে ব্যাপক পেটায় বাম যুবরা। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অনেকের মতে, উদয়পুরে আজকে বামেদের কর্মসূচী ছিল পূর্ব নির্ধারিত। আগাম জানা সত্ত্বেও কেন প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।