সোমবার ওভালের মাঠে ১৫৭ রানে জিতে ৫০ বছর আগেকার স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে ভারত। রোহিত শর্মার শতরান, বিরাট কোহলি, চেতেশ্বর পুজারার অর্ধ শতরান, যশপ্রীত বুমরা, উমেশ যাদবদের বোলিং-সহ একাধিক ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স জয় এনে দিয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। তবে কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্করের মতে, ভারতের এই জয়ের প্রধান কারিগর শার্দূল ঠাকুর। দুই ইনিংসেই শার্দূলের অর্ধ শতরান, বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট ম্যাচের রং পাল্টে দিয়েছে। প্রাক্তন অধিনায়ক তথা ওপেনার বলেন, “যা ছুঁয়েছে তাই সোনা। বেশ কিছু দর্শনীয় শট খেলেছে। ছয় হাঁকানো, স্ট্রেট ড্রাইভ, দেখতে দারুণ লেগেছে। ব্যাট করার সময় ওর মধ্যে আত্মবিশ্বাস দেখা গিয়েছে। এটাই সব চেয়ে প্রশংসনীয়।”
উল্লেখ্য, প্রথম ইনিংসে শার্দূলের ৩৬ বলে ঝোড়ো ৫৭ ভারতের স্কোরকে লড়াইয়ের জায়গায় নিয়ে যায়। বল হাতে নেন অলি পোপের উইকেট। পরের ইনিংসে ৭২ বলে ৬০ রানের প্রত্যয়ী ইনিংস খেলেন তিনি। ভারতকে বড় রানের লিড নিতে সাহায্য করে শার্দূলের ইনিংস। পঞ্চম দিনে ররি বার্নসের উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে প্রথম ধাক্কাটা দেন তিনিই। জো রুটের স্টাম্প উড়িয়ে ভারতকে জয়ের পথে এক ধাপ এগিয়ে দেন। ম্যাচের সেরা হওয়ার অন্যতম দাবিদারও ছিলেন শার্দূল। যদিও ম্যাচ সেরার পুরস্কার যায় রোহিতের ঝুলিতে।
এদিন গাভাস্কার বলেন, “ইংল্যান্ডে বল যখন নড়াচড়া করছে, সেই সময় দারুণ বল করেছে শার্দূল। বার্নস ভাল ব্যাট করছিল। সেই সময় বাঁহাতি বার্নসক যে বলে আউট করেছে, তা প্রশংসনীয়। ওই রকম বলে একজন ব্যাটসম্যানকে আউট করা সত্যিই অনন্য। রুটকে যে বল আউট করল, সেটা ভিতর ঢুকে এল। সেই জন্যই ব্যাটে খোঁচা লাগে। বল এবং ব্যাট হাতে দলের সম্পদ হয়ে উঠেছে ও। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজেও দলের আট নম্বর হয়ে উঠতে পারে শার্দূল।”