বিশ্বভারতীতে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবাদ ও অসন্তোষের এখনও অব্যাহত। তিন পড়ুয়াকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত খারিজের দাবিতে রবিবার থেকে অনশনে বসেছেন সঙ্গীত ভবনের ছাত্রীরা। দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে বলেই জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতীকে বাঁচানোর আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে প্রচুর অভিযোগ। বেতন ও পেনশন না দেওয়া, অনৈতিকভাবে বেতন কেটে নেওয়া, কথায় কথায় অধ্যাপক, ছাত্র-ছাত্রী এবং কর্মীদের সাসপেন্ড করা, বহিষ্কার করা, বদলি করা-সহ নানা অভিযোগ তোলা হয়েছে। সেই সঙ্গে অভিযোগ করা হয়েছে, উপাচার্যের সিদ্ধান্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রচুর মামলা আদালতে চলছে, যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয় বেড়েছে অনেকটাই। এমনকী ২০১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদে কোনও নিয়োগ হয়নি। সহ উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, ফিনান্স অফিসার-সহ বহু পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে।
পাশাপাশি ওই চিঠিতে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, স্থানীয়দের সঙ্গে উপাচার্যের খারাপ ব্যবহার করেন। তার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে ভুল ধারণা মানুষের মধ্যে গেঁথে গিয়েছে। তাই বিশ্বভারতীর মতো ঐতিহ্যবাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিমা ফেরাতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। বিশ্বভারতী সূত্রে খবর, শুধুমাত্র ছাত্রদের আন্দোলন মঞ্চে থাকা নয়, এবার যৌথ মঞ্চ করে উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সেখানে বিশ্বভারতীর এই আন্দোলনরত পড়ুয়ারা ছাড়াও অধ্যাপকদের একটা বড় অংশ, স্থানীয় ব্যবসায়ী সমাজ, হস্তশিল্পীদের সংগঠন, বিশ্বভারতীর আলাপিনী মহিলা সমিতি-সহ বেশ কিছু সংগঠন যোগ দিতে চলেছে। সোমবারও উপাচার্যের সরকারি আবাসন পূর্বিতার সামনে শিক্ষক দিবসে দেওয়া পড়ুয়াদের পুষ্পস্তবক পড়ে থাকতে দেখা যায়। এদিন সকালে উপাচার্যের গাড়িতে তল্লাশি চালান আন্দোলনকারীরা।