হাতে আর বেশিদিন বাকি নেই। আগামী মাসেই বাঙালির তেরো পার্বণের সর্বশ্রেষ্ঠ পার্বণ দুর্গোৎসব। আর ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পুজো কমিটিগুলি। করোনা পরিস্থিতিতে চলতি বছরে কীভাবে হবে পুজো, ছাড় মিলবে কোন কোন ক্ষেত্রে, তা নিয়ে সকলের মনেই প্রশ্ন ছিল। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার পুজো কমিটিগুলিকে অভয় দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘করোনাবিধি মেনে নিশ্চিন্তে পুজো করুন।’
এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গতবছরও করোনা পরিস্থিতিতে পুজো হয়েছে। আগের বছর যে যে নিয়ম বলবৎ ছিল, এবারও তাই থাকবে। নতুন করে কোনও নিয়ম জারি করার নেই। প্রত্যেককে সচেতন থাকতে হবে। কঠোরভাবে পালন করতে হবে করোনাবিধি।’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন, ১৫ তারিখ অর্থাৎ দশমী থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত হবে বিসর্জন। ১৮ তারিখ হতে পারে কার্নিভাল। তবে এবিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী। উপনির্বাচনের পর করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে কার্নিভাল সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।
করোনার কারণে বর্তমানে রাজ্যে জারি একাধিক বিধিনিষেধ। রাত ১১টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত জারি থাকে নাইট কারফিউ। কিন্তু পুজোর সময় বহু মানুষই রাতে প্রতিমা দর্শন পছন্দ করেন, তাঁদের দিক বিবেচনা করে পরবর্তীতে নাইট কারফিউ ওঠানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানান তিনি। কলকাতায় কম করে ২,৫০০টি বড় পুজো হয়। রাজ্যে মোট পুজোর সংখ্যা কমপক্ষে ৩৬,০০০। এছাড়াও বহু জায়গায় ছোট ছোট পুজো হয়। প্রত্যেককে নিজের উদ্যোগে মাস্ক বিলির কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বাস দেন প্রত্যেকের পাশে থাকার।