আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২-এই উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে জাঠ নেতা রাকেশ টিকায়েত বিশাল মহাপঞ্চায়েতে বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটের ডাক দিয়েছেন। তবে কৃষকদের মুজফফরনগরে মহাপঞ্চায়েত কর্মসূচীকে বিজেপি তেমন গুরুত্ব দিতে না চাইলেও ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে পিলিভিটের বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীর গলায়।
কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি বিল বাতিলের দাবিতে এক বছরের বেশি সময় উত্তর ভারতের কৃষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। টুইটে প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে বরুণ লিখেছেন, লাখ লাখ চাষি জমায়েতে সামিল হয়েছেন মুজফফরনগরে। ওরাই আমাদের রক্ত, মাংস। মর্যাদা সহকারে ওদের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসা উচিত আমাদের। ওদের কষ্ট, বেদনা, দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা, সহমতে পৌঁছতে ওদের সঙ্গে কাজ করা দরকার।
বরুণের মতামতে বিজেপি নেতারা সরকারি ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও তাঁদের কেউ কেউ ‘ব্যাপারটা উদ্বেগজনক, স্বীকার করেও জমি পুনরুদ্ধারের প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে’ বলে জানাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, কেন্দ্রের আখচাষিদের বকেয়া মেটানো, রাজ্য সরকার ঘোষিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) যে কোনও শক্ত চ্যালেঞ্জ প্রতিহত করবে।
এদিকে, গতকালের সমাবেশে ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন নেতা টিকায়েত বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, উত্তরপ্রদেশের জনতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে সহ্য করবে না। এরকম সরকার থাকলে দেশে দাঙ্গা হবে। আল্লাহু আকবর, হরহর মহাদেব ধ্বনি শোনা গিয়েছে। ওরা বিভাজনের কথা বলে, আমরা ঐক্যের।
টিকায়েতের অভিযোগ, ২২ জানুয়ারি হওয়া শেষ বৈঠকের পর থেকে কেন্দ্র চাষিদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি, গত ৯ মাসে ৬০০-র বেশি প্রতিবাদী চাষির মৃত্যুতে একবার শোক প্রকাশও করেনি। আমাদের আন্দোলন দেশ বাঁচানোর।
কেন্দ্র জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে দাবি করেছেন টিকায়েত। তিনি বলেন, ওরা আমাদের চাষের জমি, হাইওয়ে, বিদ্যুৎ, এলআইসি, ব্যাঙ্ক সব বেচে দিচ্ছে, কিনছে আদানি, অম্বানির মতো কর্পোরেট সংস্থা। এফসিআইয়ের গোডাউন, বন্দর পর্যন্ত বেচে দেওয়া হচ্ছে। এই সরকারের আমলে গোটা দেশই বিক্রি হতে বসেছে।