রাজধানীতে মিলল গোপন সুড়ঙ্গের সন্ধান। দিল্লী বিধানসভা থেকে লালকেল্লা পর্যন্ত পৌঁছনো যাবে ওই সুড়ঙ্গ দিয়ে। তবে এই সুড়ঙ্গ কোনও নতুন সুড়ঙ্গ নয়। ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল এটি। বন্দী বিপ্লবীদের ওই পথ দিয়ে নিয়ে আসা হত।
দিল্লী বিধানসভার স্পিকার রামনিবাস গোয়েল জানিয়েছেন, ‘আমি ১৯৯৩ সালে প্রথম বার বিধায়ক হয়েছিলাম। সেই সময় থেকেই শুনে এসেছি এখানে একটা সুড়ঙ্গ রয়েছে, যেটা লালকেল্লা পর্যন্ত বিস্তৃত। আমি তখন থেকে এই ইতিহাসকে খোঁজার চেষ্টা করছি। কিন্তু স্পষ্ট করে কিছু জানতে পারিনি। এতদিনে সেই সুড়ঙ্গের মুখ খুঁজে পেয়েছি আমরা। তবে এটা আর খুঁড়ে দেখা হচ্ছে না। কেননা মেট্রো ও পয়ঃপ্রণালীর কাজ হওয়ার দরুন সুড়ঙ্গের ভিতরের অনেক অংশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে আমরা এটা নতুন করে সাজিয়ে তুলব। আশা করি আগামী বছরের ১৫ আগস্টের মধ্যে সেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। তারপর এটি সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে’।
১৯১২ সালে ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লীতে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়। তখন এটি প্রধান প্রশাসনিক ভবন হিসেবে ব্যবহার করা হত। পরে ১৯২৬ সালে এটিকে আদালত হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়। সেই সময় ওই পথ দিয়েই বিপ্লবীদের বন্দি অবস্থায় আদালতে নিয়ে আসা হত। যাতে তাঁরা পালিয়ে না যেতে পারেন কিংবা কোনও রকম প্রতিরোধ তৈরি করতে না পারেন সেই কারণেই ওই সুড়ঙ্গের পরিকল্পনা।
এই স্থানের ঐতিহাসিক মূল্য অপরিসীম বলেই জানাচ্ছেন গোয়েল। তাঁর কথায়, ‘আমরা চেষ্টা করছি এই স্থানকে নতুন করে গড়ে তুলতে। যাতে পর্যটকরা এখানে এলে ইতিহাসের স্বাদ পেতে পারেন’। এই সুড়ঙ্গের ভিতরে একটি স্মারক তৈরি করারও পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।