স্কুলের পাঠ্যক্রমকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রাথমিক পর্যায়ে একাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্য জাতীয় গ্রন্থাগারে একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, পাঠ্যক্রম পুনর্গঠনের পরিকল্পনা বর্তমানে আলোচনার স্তরে রয়েছে।
জানা গিয়েছে, এর আগে ২০১১ সালে গঠন করা হয়েছিল সিলেবাস কমিটি। যে কমিটি কাজ শুরু করেছিল ২০১২ সালে। ২০১৩ সালে প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম এবং একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম পুনর্গঠন করা হয়েছিল।
সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন, “আধুনিক ও বিশ্বমানের পাঠ্যক্রম গড়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।” জানা গিয়েছে, এই পাঠ্যক্রম পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া বেশ সময়সাপেক্ষ। তাই স্বল্প সময়ের মধ্যে একাজ সম্পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা কম। শিক্ষামন্ত্রী জানান, উৎসশ্রী পোর্টালে ব্যাপক সাড়া মিলছে। ইতিমধ্যেই দু’হাজারের বেশি শিক্ষক পোর্টালের মাধ্যমে বদলি হয়েছেন।
দ্বিতীয়, চতুর্থ, ষষ্ঠ, অষ্টম শ্রেণি এবং প্রাক-প্রাথমিকের পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করা হয়েছিল ২০১৪ সালে। ২০১৫ সালে নবম এবং ২০১৬ সালে দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রম বদল করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, নতুন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উদ্যোগে আবারও সব শ্রেণির পাঠ্যক্রমকে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছে শিক্ষা দপ্তর।