রাজ্য সরকারের লক্ষ্য এখন বীরভূমের দেউচা-পাঁচামি কয়লা খনির কাজ শুরু করা। এটা শুরু হয়ে গেলে আগামী একশো বছরে রাজ্যে বিদ্যুতের অভাব হবে না। এবার পানাগড় শিল্পতালুকে একটি পলিফিল্ম কারখানার শিলান্যাস করতে এসে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রাজ্যের শিল্পের একাধিক সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের একাধিক শিল্পতালুক ছাড়া সরকারের লক্ষ্য এখন বীরভূমের দেউচা-পাঁচামি কয়লা খনির কাজ শুরু করা। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেউচা-পাঁচামি এখান থেকে এক ঘণ্টার রাস্তা। দুনিয়ায় দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি এখানেই তৈরি হবে। ১৫ হাজার কোটি বিনিয়োগ হবে এখানে। এটি তৈরি হয়ে গেলে আগামী একশো বছরে রাজ্যে বিদ্যুতের অভাব হবে না। এতে শিল্পের সুবিধে হবে। ওই খনি তৈরির জন্য যে রিহ্যাবিটিটেশন কাজ তা আগামী ২-৩ মাসের মধ্য়েই শুরু হয়ে যাবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে জমিদাতাদের চাকরি হবে, ঘর হবে, স্কুল হবে, সবকিছুই হবে জমিদাতাদের।
রাজ্যে শিল্প সম্ভাবনার কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডানকুনি থেকে অমৃতসর পর্যন্ত ফ্রেট করিডর তৈরি হচ্ছে। এছাড়া পানাগড় থেকে রঘুনাথপুর পর্যন্ত যে শিল্পতালুক হবে তার নাম দিয়েছি জঙ্গলমহল সুন্দরী। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের ওই শিল্পতালুকে বিনিয়োগ হবে ৭২ হাজার কোটি টাকা। অধিকাংশ জায়গায় জমি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সরকার শিল্পের পাশে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা ২টি নতুন পলিসি ঘোষণা করছি রাজ্যে শিল্পের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য। একটি হল ইথানল প্রোডাকশন প্রমোশন পলিসি ও অন্যটি হল ডেটা সেন্টার পলিসি। ডেটা সেন্টার গুলোর জন্য রাজ্য সরকার সব ধরণের সাহায্য করবে। ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে চার হাজার কর্মসংস্থান হবে।