এবার বিজেপি শাসিত হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টর সরকারের বিরুদ্ধে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হলেম তৃণমূল নেতা তথা আরটিআই কর্মী সাকেত গোখলে। গত ৩০ আগস্ট সাকেত কারনালের এসডিএম আয়ুষ সিংহের বিষয়ে তথ্য চেয়ে হরিয়ানা সরকারের কাছে আরটিআই করেছিলেন। কৃষক বিক্ষোভের দিন একটি ভিডিওতে আয়ুষ সিংহকে পুলিশদের প্রতিবাদরত কৃষকদের মাথা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিতে দেখা যায়। সাকেত জানতে চেয়েছিলেন এই প্রেক্ষিতে আয়ুষের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি না। হরিয়ানা সরকারের কাছে কোন সদুত্তর না পেয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ সাকেত।
প্রসঙ্গত, এসডিএম আয়ুষ সিংহের বিষয়ে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন উত্তেজনার বশে এইরকম উক্তি করেছিলেন আয়ুষ। সকেতের দাবি, একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক এইরকম উক্তি করলে তাকে নির্দেশ হিসেবেই নেবে পুলিশ। সেভাবেই কাজ করবে তারা। একজন এসডিএম এত দায়িত্বজ্ঞানহীন হতে পারেন না যে তিনি এইরকম প্ররোচনামূলক উক্তি করবেন। মানবাধিকার কমিশনে হরিয়ানা সরকারের ন্যায় প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন সাকেত। টুইটে তিনি মানবাধিকার কমিশনকে কটাক্ষ করে বলেন, আশা রাখছি বাংলার মতো বিজেপি শাসিত হরিয়ানাতেও একইরকম সক্রিয়তা দেখাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। অর্থাৎ মানবাধিকার কমিশন বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রিপোর্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে যতটা সক্রিয় ছিল একইরকম সক্রিয়তা দেখাবে হরিয়ানার ক্ষেত্রেও।
প্রসঙ্গত, ২৮ আগস্ট সকালে বিজেপি-শাসিত হরিয়ানার কারনালে বস্তারা টোল প্লাজার কাছে জাতীয় সড়কে বিজেপি নেতাদের গাড়ির সামনে কালো পতাকা দেখিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কৃষকরা। ওইদিনই এক আইএএস অফিসারের ভিডিও ভাইরাল হয়। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওয় দেখা যায়, ঘটনাস্থলে ২০১৮ ব্যাচের আইএএস আয়ুষ সিংহ পুলিশকে নির্দেশ দিচ্ছেন, ‘প্রত্যেক প্রতিবাদীকে ধরে পেটাও! উঠা উঠাকে মারো পিছে সবকো।’ আয়ুষ বর্তমানে কারনালের এসডিএম। তাঁকে এ-ও বলতে শোনা যায়, ‘একটা লোকও যেন আমার কাছে পৌঁছতে না পারে। যদি বা পৌঁছয়, তার মাথা যেন ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ক্লিয়ার হ্যায় আপকো?’ আয়ুষের এই নির্দেশ নিয়েই হরিয়ানা সরকারের কাছে আরটিআই করেছিলেন সাকেত। কিন্তু কোনও সদুত্তর না পেয়ে এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হলেন তিনি।