আগামী দুর্গাপুজোর আগেই শিলিগুড়িতে সম্পূর্ণ করতে হবে করোনার টিকাকরণের কাজ। এমনই লক্ষ্য পুরনিগমের। ইতিমধ্যে বাড়ানো হচ্ছে টিকার পরিমাণ। এবার থেকে প্রতিদিন ৩ হাজার পরিবর্তে সাড়ে ৬ হাজার করে টিকা দেওয়া হবে পুরো শহরে। এছাড়াও একটি ভ্যাকসিন ভ্যান এর সূচনা করা হচ্ছে এই ভ্যানটি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরবে। অন্যদিকে, শহরের যানজট সমস্যা সমাধানে নেওয়া হচ্ছে একাধিক পদক্ষেপ। করোনার টিকা পাওয়া নিয়ে শিলিগুড়ির প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র মেডিকেলে প্রতিদিনই লম্বা লাইন পড়ছে সাধারণ মানুষের। তবে এখনও প্রচুর মানুষ রয়েছে যারা করোনার টিকার প্রথম ডোজ নেয়নি। তাই পুজোর আগে পুরনিগম এলাকায় সকলকেই টিকার দেওয়ার কাজ শেষ করতে চাইছে শিলিগুড়ি পুরনিগম।
সোমবার, শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রধান কার্যালয়ে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দার্জিলিং জেলার জেলাশাসক সহ স্বাস্থ্য ও পরিবহন আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক সারলেন পুরপ্রশাসক গৌতম দেব। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, “এতদিন পুরনিগমের অন্তর্গত সমস্ত পৌর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মোট ৩০০০ করে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঁচশো করে ও জেলা হাসপাতালে দুশো করে প্রতিদিন টিকা দেওয়া হত। কিন্তু টিকার মাত্রা বাড়াতে এবার সমস্ত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ৫ হাজার করে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ১ হাজার করে ও জেলা হাসপাতালে পাঁচশো করে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।” আগামী মাসের মধ্যে প্রায় সত্তর শতাংশ শহরবাসীর কমপক্ষে প্রথম ডোজের টিকাকরণ সম্পন্ন করার লক্ষ রয়েছে পুরনিগমের। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, এবার থেকে সত্তরোর্ধ্ব নাগরিকদের জন্য মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে তাদের এলাকায় পৌঁছে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৭২ হাজার শহরবাসীর টিকা সম্পন্ন হয়েছে এবং আরো ৫৬ হাজার শহরবাসীর টিকা বাকি আছে যা খুব দ্রুতই সম্পন্ন করা হবে। তিনি আরও জানান উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এবং শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। এর ফলে অক্সিজেনের ঘাটতি অনেকটাই কমবে। অন্যদিকে গৌতমবাবু জানান, শিলিগুড়ি শহরের যানজট সমস্যা মেটাতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে পুরনিগম। শিলিগুড়ির বাগড়াকোটের লোকাল বাস স্ট্যান্ডকে সরিয়ে পি সি মিত্তাল বাস স্ট্যান্ডের পেছনে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে, পাশাপাশি তেনজিং নর্গে বাস টার্মিনাসকে নতুন করে সাজানো হবে। ঘোষপুকুরে নতুন ট্রাক টার্মিনাস তৈরির জন্যও ইতিমধ্যে জায়গা দেখা হচ্ছে। দুটো বেসরকারি সংস্থার সাথে কথা চলছে। তাদের প্রযুক্তি ব্যবহার করে শহরের ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে খুব দ্রুত কাজ করা হবে, এমনটাই জানিয়েছেন পুরপ্রশাসক।