উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বারবারই বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছে বিশ্বভারতী। এবার ছাত্র আন্দোলনে আরও উত্তপ্ত হওয়ার পথে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। টানা ৪ দিন ধরে অচলাবস্থা চলছিলই। এবার পডুয়াদের বিক্ষোভের মাঝে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠতেই অশান্তির আগুনে যেন ঘৃতাহুতি পড়ল। মঙ্গলবার সকালে উপাচার্যের বাড়ির গেটে ব্যানার লাগাতে গেলে বিশ্বভারতীর পুরুষ নিরাপত্তা কর্মীরা ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। শান্তিনিকেতন থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করেছেন দুই ছাত্রী। উপাচার্যের বাড়ির সামনে থেকে এদিন সকালেও অবস্থান বিক্ষোভ করছেন ছাত্রছাত্রীরা। দুপুরের পর একটি মিছিল বেরবে উপাচার্যের বাড়ির সামনে থেকে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার থেকে ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল বিশ্বভারতী। যার জেরে গৃহবন্দি হয়ে পড়েন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, উপাচার্য অ্যাডমিশন কমিটির চেয়ারম্যান। তাই তিনি অফিসে না আসার কারণে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হল। এছাড়া বিশ্বভারতীর বিভিন্ন বিভাগে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এর জেরে চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে ছাত্রছাত্রীদের। সোমবার উপাচার্যের বাসভবনের সামনে একটি ব্যানার টাঙাতে যান ছাত্রছাত্রীরা। তাতে বাধা দেন নিরাপত্তাকর্মীরা। দু’পক্ষের বচসায় রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উপাচার্যের বাসভবন চত্বর।
এরপরই মঙ্গলবার সকালে দুই ছাত্রী অভিযোগ করেন, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এবং জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকারের নির্দেশে পুরুষ নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের শ্লীলতাহানি করে। ইতিমধ্যেই অভিযোগই দায়ের করা হয়েছে শান্তিনিকেতন থানায়। অন্যদিকে, কোভিডবিধি ভেঙে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের অনুগামীরা সরকারি ছুটির দিন অবৈধ জমায়েত করেছে এবং আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের ভয় দেখানো, জোর করে আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা তথা আইনশৃঙ্খলার অবমাননা-সহ একাধিক অভিযোগে এদিন থানায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সবমিলিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে নতুন করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল বিশ্বভারতীর পরিস্থিতি।