বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর ২৪ ঘণ্টাও পেরোয়নি। তাঁর আগেই ফের বিজেপি শিবিরে ভাঙন। এবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরছেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুরের এক বিজেপি বিধায়কও যোগ দেবেন ঘাসফুল শিবিরে।
২০১৯ সালে দিল্লীতে বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। দলবদলের পরই সক্রিয়ভাবে কাজও শুরু করেছিলেন তিনি। তবে দলের একাংশ কোনওদিনই ভালভাবে গ্রহণ করেননি তাঁকে। যদিও তাতে গুরুত্ব দিতে চাননি বিশ্বজিৎবাবু। পরবর্তীতে একুশের নির্বাচনের আগে বিধায়কের সুর বদলায়। বিধানসভার অধিবেশনের একেবারে শেষ দিনে বিশ্বজিৎ দাস মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেও যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা নেতৃত্ব। ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক। প্রায় ২০ মিনিট কথা হয় তাঁর।
এই সাক্ষাতের কারণে স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বজিতের দলবদল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। এরপর তড়িঘড়ি ওই বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং মুকুল রায়রা। যদিও বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউ। সেই ঘটনার পরও বিশ্বজিৎ দাসের একাধিক আচরণ দলবদলের জল্পনা উসকে দিয়েছিল।
জানা গিয়েছে, অবশেষে বিজেপি শিবির ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্বজিৎ। সম্ভবত মঙ্গলবার দুপুরেই ঘাসফুল শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নেবেন তিনি। যদিও এবিষয়ে বিশ্বজিৎবাবু নিজে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনে মোট ৭৭ টি আসন জয় করেছিল বিজেপি। নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ গ্রহণ না করায় বাংলায় বিজেপি বিধায়েক সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৭৫-এ। তারপর দল ছেড়েছেন মুকুল রায়, তন্ময় ঘোষ। এবার বিশ্বজিৎ দাস ও দক্ষিণ দিনাজপুরের আরও এক বিধায়ক দলত্যাগের সিদ্ধান্ত বিজেপির চিন্তা যে বাড়াচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য।