ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। হাওড়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমানের মতো জেলেগুলিতে যায় সিবিআই টিম। এদিন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত্যু হওয়া কাকলি ক্ষেত্রপালের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সিবিআই-র একটি প্রতিনিধি দল। মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের অভিযোগ শোনা এবং তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট দেখা হয়। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও পরিবারের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়।
৩ মে পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুরে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মারা যান কাকলি ক্ষেত্রপাল নামে এক মহিলা। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তাঁর ছেলে বিজেপি করতেন, এই ‘অপরাধে’ কাকলি দেবীকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মারের চোটে মৃত্যু হয় জামালপুরের নবগ্রামের ষষ্ঠীতলার বাসিন্দা ওই মহিলার।
পাশাপাশি নবগ্রামের বাসিন্দা মামনি ক্ষেত্রপালের বাড়িতেও যায় সিবিআইয়ের টিম। কাকলি ক্ষেত্রপালের মৃত্যুর পর মামনি থানায় অভিযোগ করেছিলেন। মৃত কাকলী ক্ষেত্রপালের মাথায় টাঙ্গির কোপ মারা হয়। জখম হন তাঁর বাবা অনিল ক্ষেত্রপালও। পরিবারের দাবি কাকলি তো মারা গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে পরিবারের অন্য সদস্যরাও যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন তার যেন বিচার হয়।
এদিকে সিবিআইয়ের টিম মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গেলেও ভোট পরবর্তী হিংসায় মারা যাওয়া ওই এলাকারই বাকি দুই মৃত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে না যাওয়ায় বির্তক তৈরি হয়েছে। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর গত ৩ মে বিজেপি কর্মী কাকলি ক্ষেত্রপালের পাশাপাশি শাজাহান শাহ ও বিভাস বাগ নামে দুই তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয় রাজনৈতিক সংঘর্ষে। কেন তাঁদের বাড়িতে যাওয়া হল না, দেখা হল না সেই পরিবারের কোনও অভিযোগ আছে কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জেলার তৃণমূল শিবির। এক তৃণমূল নেতার কটাক্ষ, ‘বেছে বেছে বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করছে সিবিআই, যেন তৃণমূলের কেউ মারা যায়নি!