উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বারবারই বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছে বিশ্বভারতী। এবার ছাত্র আন্দোলনে উত্তপ্ত হল কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত এই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের সমর্থনে সোমবার সকালে একটি মিছিল করে গণতান্ত্রিক নাগরিক মঞ্চ। মিছিল শেষে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে একটি ব্যানার টাঙাতে যান গণতান্ত্রিক নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা। তা নিয়ে গণ্ডগোল বেঁধে যায়।
গণতান্ত্রিক নাগরিক মঞ্চের সদস্যদেরও অভিযোগ, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ‘যথেচ্ছাচার’ করছেন। তারই প্রতিবাদে ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবাদ-আন্দোলনে শামিল হয়েছে। তবে তা সত্ত্বেও উপাচার্য কেন নিশ্চুপ, কেন উপাচার্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলছেন না, তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন গণতান্ত্রিক নাগরিক মঞ্চের সদস্যরা। উপাচার্যের আচরণের প্রতিবাদে সোমবার মিছিল শেষে তাঁর বাসভবনের সামনে একটি ব্যানার টাঙাতে যায়। তাতেই বাধা দেয় নিরাপত্তাকর্মীরা। দু’পক্ষের বচসায় রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।
উল্লেখ্য, বিশ্বভারতীর প্রায় ১২ জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকাকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়াও অর্থনীতি এবং সংগীত বিভাগের মোট ৩জন পড়ুয়াকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরবর্তীতে সাসপেনশন বর্ধিত করা হয়। তারা সাসপেন্ড থাকাকালীন তিন পড়ুয়াকে ৩ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব পড়ুয়ারা। তাঁদের দাবি, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘যথেচ্ছাচার’ করছেন।
তারই প্রতিবাদে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। সেখানে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে একপ্রস্থ তর্কাতর্কিতেও জড়িয়ে পড়েন পড়ুয়ারা। পরে উপাচার্যের বাসভবন ‘পূর্বিতা’ ঘেরাও করেন তারা। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা, ‘তালিবান উপাচার্য দূর হটো’। শুক্র এবং শনিবার রাতভর ঘেরাও উপাচার্য। রবিবারও দিনভর জারি ছিল পড়ুয়াদের আন্দোলন। উপাচার্য পড়ুয়াদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বদল না করলে আন্দোলন জারি থাকবে বলেই দাবি আন্দোলনকারীদের।