উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বারবারই বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছে বিশ্বভারতী। এবার ছাত্র আন্দোলনে আরও উত্তপ্ত হওয়ার পথে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। উপাচার্যকে লাগাতার ঘেরাও করে রাখার কারণ দেখিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়াই বন্ধ করে দিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ, সোমবার দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে শান্তিনিকেতনে। এক দিকে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে ঘুরল নাগরিক মিছিল অন্যদিকে ভিসি বাংলোর সামনে ব্যানার ঝুলল ‘নো পাসারন।’ তা নিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের ধস্তাধস্তিতে আরএক প্রস্থ উত্তেজনা ছড়াল। সব মিলিয়ে সরগরম বিশ্বভারতী।
সোমবার ছাত্র ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে উপাচার্য, রেজিস্ট্রার-সহ অন্যান্যদের এফআইআর দায়ের করা হল শান্তিনিকেতন থানায়। সেই অভিযোগপত্রে ছাত্র ঐক্য মঞ্চের পক্ষে বলা হয়েছে, স্মারকলিপি দিতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েক জন আধিকারিক ছাত্রদের জোর করে বের করে দেয়। এবং গাড়ির চালককে নির্দেশ দেয় ছাত্রদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার জন্য। এ নিয়ে এর আগে দুই ছাত্র খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছে ছাত্র মঞ্চ।
প্রসঙ্গত, তিন পড়ুয়াকে মাওবাদী তকমা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়য় থেকে সাসপেন্ড করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। গত ন’মাস ধরে তাঁরা সাসপেন্ড হয়ে রয়েছেন। তাঁদের ফেরানোর দাবিতেই আন্দোলন চালাচ্ছেন পড়ুয়ারা। ঘটনা হচ্ছে, এই পরিস্থিতি যখন চলছে তখন নির্বিকার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মুখ খুলছেন না উপচার্যও। যা নিয়ে আরও ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা। পরিস্থিতি যখন এমনই তখন সোমবার জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে, যে অধ্যাপক, কর্মীরা ছুটিতে রয়েছেন তাঁরা যেন জরুরি ভিত্তিতে মঙ্গলবার কাজে যোগ দেন। যা আগুনে ঘি ঢালবে বলেই মনে করছেন অনেকে।