এবার প্রকাশ্যে এল আগ্নেয়াস্ত্র–সহ বিজেপি কর্মী গ্রেফতারের খবর। ধৃত বিজেপি কর্মী সুবিমল দাসের কাছ থেকে দু’রাউন্ড গুলি ও একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। সূত্র অনুযায়ী, এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসাবে লোকজনকে চমকাত সুবিমল। ভয় দেখাত। এমনকী তোলাবাজির অভিযোগও রয়েছে। তাঁকে গ্রেফতারের পরে দফায় দফায় জেরা করে সুবিমলের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ওসির নেমপ্লেট–সহ অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টরের ব্যাজ। কী কারণে গুলিভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র এবং পুলিশের নেমপ্লেট রেখেছিল সুবিমল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।
পটাশপুর থানার সাউৎখন্ড পঞ্চায়েতের শুকাখোলা গ্রামের বাসিন্দা সুবিমল দাস। তাঁর বাবা চিত্ত দাস দলিল লেখক ছিলেন। তখন সুবিমল পটাশপুরের রেজিস্ট্রি অফিসে মুহুরির কাজ করত। বাবার মৃত্যুর পরও সেই কাজ চালিয়ে যায় সুবিমল। একুশের নির্বাচনের আগে বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত সুবিমলের বিরুদ্ধে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগ আসে পুলিশের কাছে। সেই বন্দুক নিয়েই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াত বলে অভিযোগ। এমনকী গুলি ছোড়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। যদিও তাতে কেউ হতাহত হয়নি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পটাশপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তকে বন্দুক–সহ গ্রেফতার করে। তাঁকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন কাঁথি আদালতের বিচারক।
পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে আরও খবর, ধৃতের কাছ থেকে ভবানীপুর থানার ওসির নেমপ্লেট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টরের ব্যাজ মিলেছে। ধৃতের বিজেপি যোগ নিয়ে বিজেপির পটাশপুর–১ মধ্য মণ্ডলের সভাপতি সুমিত জানা দাবি করেন, “ধৃত ব্যক্তি আমাদের দলের কর্মী নয়। তৃণমূল কংগ্রেসেরই সক্রিয় কর্মী। এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসই রাজনৈতিক স্বার্থে তাকে ব্যবহার করেছিল।” তা উড়িয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মৃণালকান্তি দাস জানান, “অভিযুক্ত সরাসরি বিজেপি দলের কর্মী। এখন নিজেদের কুকীর্তি ঢাকতে তৃণমূল কংগ্রেসের উপর মিথ্যা দায় চাপাচ্ছে বিজেপি।”