বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুললেই বিরোধীদের চুপ করাতে এজেন্সি লেলিয়ে দেয় মোদী সরকার। বারবারই এই অভিযোগ করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার টিএমসপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে ফের বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি নিয়ে সরব হলেন তিনি। এদিন সকালেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে ইডি। তা নিয়ে এদিনের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে মমতার তোপ, ‘দিল্লী যখন রাজনীতিতে পারে না তখন এজেন্সি লেলিয়ে দেয়।’ তিনি হঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাকে একটা ইডি দেখালে আমি বস্তা ভরে তথ্য দেব।’ তাঁর দাবি, ‘মহিলা-কাণ্ডে অনেক বিজেপি নেতার নাম জড়িয়েছে, আমি কখনও কাউকে গ্রেফতার করিনি।’
প্রসঙ্গত, তৃণমূলের সঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সংঘাত অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই। ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের পাঠানো নিয়েও বারবার সরব হয়েছেন মমতা। আর এবার একদিকে যখন সেই ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই, তখনই কেন্দ্রীয় সরকারকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল নেত্রী। শনিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ইডির কাছে বস্তা ভরে কাগজ পাঠাব। আমরাও কোর্টে যেতে পারি। সব কিছু ম্যানেজ করা যায় না। সব ম্যানেজ করা অত সহজ নয়।’ বিজেপিকে রাজনৈতিক পথে লড়ার বার্তাও দেন তিনি। বলেন, ‘অভিষেক, সুব্রত বক্সি, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বা কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সঙ্গে রাজনৈতিক পথে লড়ুন।’
গেরুয়া শিবিরকে মমতার সাফ বার্তা, ‘ভুলে যাবেন না আজও কিছু কিছু লোক আছে যারা কথা বলতে ভয় পান না।’ তাঁর কথায়, রাজনীতি প্রতিহিংসার জন্য নয়। তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক পথে লড়তে না পেরেই প্রতিহিংসার পথে হাঁটছে বিজেপি। একই সঙ্গে পিএম কেয়ারের টাকা এবং বিজেপির দলীয় তহবিলের টাকা নিয়েও নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর প্রশ্ন, ‘আপনাদের কাছে কয়েক হাজার কোটি টাকা কী ভাবে এল? পিএম কেয়ারে অত টাকা কী করে গেল? আমরা কি ইডি দিয়ে তদন্ত করাব?’ অন্যদিকে, মানবাধিকার কমিশন নিয়ে আগেও একাধিকবার তোপ দেগেছেন মমতা। আজ ফের একবার তিনি বললেন, ‘মানবাধিকার কমিশনে সব বিজেপির মেম্বার। যে রিপোর্ট দিয়েছে সেও একজন বিজেপি, আমি প্রমাণ করে দিতে পারি।’ তাঁর প্রশ্ন, ‘মানবাধিকার কমিশন নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু বিজেপি নেতাকে গিয়ে কেন সব জায়গায় ঘোরা হল?’