বিরোধীদের প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়াই হোক বা মানহানিকর মন্তব্য করা — সবেতেই গেরুয়া শিবিরের নেতা-মন্ত্রীদের জুড়ি মেলা ভার। আর সেই তালিকায় একদম ওপরের দিকেই নাম রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। বারবারই বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্ক বাঁধিয়েছেন তিনি। একুশের ভোটযুদ্ধে ভরাডুবির পরেও মুখে লাগাম পড়েনি তাঁর। এবার যেমন বিশ্বভারতীতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে শুরু হওয়া আন্দোলনকে ‘গুন্ডামি’ বলে দেগে দিলেন তিনি। শনিবার সকালে ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ বলেন, ‘বিশ্বভারতীকে রাজনীতির আখড়া করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুন্ডামি করার জায়গা নয়। বিশ্বভারতী আমাদের কাছে গর্বের ব্যাপার। এইসব করে শান্তিনিকেতনের গরিমা নষ্ট করা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর ৩ পড়ুয়াকে বহিষ্কার করার জেরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এমনিতেই ক্ষোভ চরমে উঠেছে রাজ্যের শিক্ষামহলে। তার মধ্যে আবার তিনি এখন বিশ্বভারতীর কর্মসমিতিকে কার্যত তাঁর একক ক্ষমতার কেন্দ্রে পরিণত করেছেন। এর প্রতিবাদেই পড়ুয়ারা সেখানে আন্দোলন শুরু করেছেন। শুক্রবার রাত থেকে উপাচার্যকে ঘেরাও করেছেন তাঁরা। বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের এ হেন আচরণকেই ‘গুন্ডামি’ বলে দেগে দিয়েছেন দিলীপ। বলেছেন, ‘বাংলায় শিক্ষা ব্যবস্থার যেমন অন্তর্জলি যাত্রা হয়ে গিয়েছে। আইন শৃঙ্খলারও তাই অবস্থা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটা গুন্ডামি করার জন্য নয়। রাজনীতি করার জন্য নয়।’ স্বাভাবিকভাবেই দিলীপের এ হেন মন্তব্যের পরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ফের সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁকে।