আসামে কংগ্রেসের একটি অংশ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছে। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরে এমনই অভিযোগ করেছেন সুস্মিতা দেব। তার দাবি কংগ্রেসে ওই নেতারা, প্রকাশ্যেই আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার প্রশংসা করছে। যে আসামে এক সময় কংগ্রেস দীর্ঘদিন রাজত্ব করেছে সেখানে এখন তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম।
কংগ্রেসে জাতীয় মুখপত্র এবং মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন সুস্মিতা দেব। দিনকয়েক আগেই তিনি যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তাঁর দাবি, আসামের কংগ্রেস এখন বিভ্রান্ত। তিনি বলেন, ‘আসামে বিরোধী দলের জায়গা এখন ফাঁকা পড়ে আছে। তৃণমূল এই শূন্যতা পূরণ করতে পারবে। এই লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন জাতীয় নেত্রী। তিনি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসামে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন। উত্তর-পূর্ব ভারতের সব রাজ্যেই তৃণমূল কাজ করবে। তবে এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য ২০২৩ সালের ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন।’
শিলচরের এই প্রাক্তন সাংসদ জানান, প্রায় ত্রিশ বছরের রাজনৈতিক জীবনে তাঁর এই দলবদল করা একটি বড় পরিবর্তন। রাজনীতি মানুষকে সেবা করার জন্য হলেও কংগ্রেস এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা শিলচর সহ আশেপাশের এলাকাতে ‘নেগেটিভ’ প্রভাব বিস্তার করছে। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের নির্বাচনে যে ভাবে কংগ্রেস আসামে হেরেছে তাতে আমার মনে হয় না যে কংগ্রেস আবার মানুষে কাছে ভোট চাইতে যেতে পারবে। সুস্মিতা দেবের দাবি, তিনি বরাবরই বিজেপি বিরোধী এবং আজীবন তাই থাকবেন। তাই তিনি বিজেপি বিরোধী অবস্থান নিয়ে দলবদল করেছেন এবং এতে কোনও অন্যায় নেই। কারণ কংগ্রেস, বিজেপির মত দলেও অন্য অনেক দল থেকেও লোকজন এসে যোগ দেয়।