অপেক্ষার আর কিছুদিন। হাতে গুনে আর মাস দেড়েক পরই দুর্গাপুজো। করোনা আবহে বাংলায় দুর্গোৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। মহামারী আবহে গতবার নম নম করে সারতে হয়েছিল বাঙালি সবচেয়ে বড় উৎসব। এবার পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি বদলেছে। ফলে আশা রাখা যাচ্ছে জাঁকজমক করেই পালিত হবে দুর্গোৎসব। এমন পরিস্থিতিতে দুর্গোপুজোয় বিদ্যুৎ বিভ্রাট রুখতে কোমর বাঁধছে বিদ্যুৎ দপ্তর। সেই প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠক সারলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। জানালেন বিভ্রাট রুখতে চালু হচ্ছে কন্ট্রোল রুমও।
এদিন বিদ্যুৎদপ্তরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সারেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তার পর সাংবাদিক বৈঠক করে একাধিক তথ্য জানান তিনি। পুজো কমিটিগুলির সহায়তায় হাতও বাড়িয়ে দেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী জানান, পুজো কমিটিগুলির চাহিদার কথা মাথায় রেখে কোমর বাঁধছে বিদ্যুৎ দপ্তর। পঞ্চমী থেকেই পুজো মণ্ডপে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হবে। তবে কেউ চাইলে মহালয়ার সময় থেকেই এই বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হতে পারে।
পুজো কমিটিরা জানালে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, পঞ্চমী থেকে বিভিন্ন জেলা-সহ কলকাতায় ২৪ ঘণ্টাক কন্ট্রোল রুম খোলা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। সেখানে প্রয়োজন মতো অভিযোগ জানানো যাবে। আমজনতার সমস্যা সমাধানের জন্য পুজোর সময় ২৪ ঘণ্টা অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে থাকবে বিদ্যুৎ দপ্তর। এদিন এমনটাই জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, করোনার কোপে মাটি হয়েছিল ২০২০ সালের দুর্গাপুজো। করোনার নিয়মের কড়াকড়ির জেরে বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবেও মন খুলে আনন্দ করতে পারেনি রাজ্যবাসী। এ বছর আর সেই পরিস্থিতি থাকবে না বলেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু কেন্দ্রের নয়া নির্দেশের চিঠিতে ফের আশঙ্কার মেঘ দেখা দিয়েছে আকাশে। তাতে বলা হয়েছে, বাড়তে পারে কোভিড সংক্রমণ। তাই উৎসবের মরশুমে ভিড় জমানো যাবে না। বরং উৎসবের মরসুমেও স্থানীয় স্তরে বিধিনিষেধ জারি করতে হবে। তবে এবার দুর্গোপুজোয় রাজ্যে কী নিয়ম মেনে চলা হবে, তা দিনের শেষে চূড়ান্ত করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।