বিগত ১৯৯৯ সালের ২রা ডিসেম্বর ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পায় উত্তরবঙ্গের অন্যতম আকর্ষণ টয়ট্রেন। এবার সেই টয়ট্রেন বেসরকারিকরণের পথে। এমনটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, আজ, দীর্ঘ ১৭ মাস পর দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি এবং শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত ছোটা শুরু করল এই টয়ট্রেন। স্বাভাবিকভাবেই কেন্দ্রের এই বেসরকারিকরণের বিরোধী উত্তরবঙ্গের ট্যুর অপারেটার্সরা। বেসরকারিকরণ হলে আদৌও কি ইউনেস্কো টয়ট্রেনের হেরিটেজ তকমা রাখবে? প্রশ্ন ট্যুর অপারেটার্সদের। কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব বিবেচনার দাবী জানাবে উত্তরের ট্যুর অপারেটার্সদের সংগঠন। আদতে পর্যটন শিল্পে বড় ক্ষতি হবে বলছে হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্যুরিজম ডেভলোপমেন্ট নেটওয়ার্কের মত সংগঠনও। শীঘ্রই কেন্দ্রের কাছে চিঠিও পাঠাবেন তাঁরা।
এপ্রসঙ্গে একই সুর রাজ্যের প্রাক্তন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের গলাতেও। তিনি জানান, “একের পর এক লাভজনক সংস্থা বেসরকারিকরণ করছে কেন্দ্র। হেরিটেজ টয়ট্রেন বেসরকারীকরণ করা হলে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ভ্রমণ হাতের নাগালের বাইরে চলে যাবে। আরো ব্যয়বহুল হবে। এর বিরুদ্ধে সর্বস্তর পর্যন্ত আন্দোলন হবে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত দুর্ভাগ্যজনক।” স্থানীয়রাও টয়ট্রেনের বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেছে। তাদের দাবি, বেসরকারিকরণ হলে টয়ট্রেনও লিভারপুলের মতো দুর্ভাগ্যের শিকার হবে। ইতিমধ্যেই নরেন্দ্র মোদীর কাছে সামাজিক মাধ্যমে টয়ট্রেনের বেসরকারিকরণ না করার আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয়রা।