২০১২ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে তৈরি যুদ্ধজাহাজ লিয়াওনিং কেনে চিন৷ পরবর্তী সময়ে নিজেদের দেশেই বিমান বহনে সক্ষম আরো একটি যুদ্ধজাহাজ তৈরি করে তারা৷ তৃতীয়টির প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছিল তাঁরা৷ গতকাল চিনের তরফে বিমান বহনে সক্ষম তৃতীয় যুদ্ধজাহাজ তৈরির কথা ঘোষণা করা হয়৷ যা চিন্তা বাড়িয়েছে ভারত সহ এশিয়ার একাধিক দেশের৷
তৃতীয় জাহাজটি যে আরো শক্তিশালী হবে তাও জানিয়ে দিয়েছে চিন৷ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই যুদ্ধজাহাজটি তৈরি হলে চিনের নৌবাহিনীর আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে৷ দক্ষিণ চিন সাগরে তাদের দাপট নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন্স, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই এবং তাইওয়ান৷ পূর্ব চিন সাগরের দখলদারি নিয়ে জাপানের সাথে বিবাদও চলছে চিনের৷ তারমধ্যেই এমন ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় অন্যান্য দেশ৷
যদিও এই তৃতীয় যুদ্ধজাহাজটিকে নিয়ে চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থার পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি৷ শুধু জানা গেছে, নির্ধারিত সময়সূচি মেনেই নতুন প্রজন্মের এই রণতরী তৈরি হচ্ছে এবং এই আধুনিক রণতরীটি আরও বড় ও শক্তিশালী হবে৷ যদিও এই প্রসঙ্গে চিনের সরকারি জাহাজ নির্মাণকারী সংস্থার পক্ষ থেকে কিছু জানা যায়নি৷
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ঘোষনার পর চিনের সামরিক কর্মকান্ডের ওপর কড়া নজর রেখেছে ভারত৷ ভারতীয় নৌবাহিনী সূত্রে খবর, ১৯৬১ সাল থেকে ভারতের হাতে বিমানে সক্ষম যুদ্ধজাহাজ থাকলেও এই মুহূর্তে এই ধরণের একটিই রণতরী রয়েছে, আইএনএস বিক্রমাদিত্য৷ অনুমান ২০২০ সালে পরীক্ষামূলক ভাবে জলে নামানো হবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই যুদ্ধজাহাজকে৷ সামরিক ক্ষেত্রে বরাবরই শক্তিশালী ছিল চিন তবে যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার বহনে সক্ষম রণতরী তৈরির ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়েই ছিল তারা৷ এবার তিন-তিনটে যুদ্ধজাহাজ নিয়ে সবাইকে টেক্কা দেওয়ার পালা তাদের৷