মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়লেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নারায়ণ রানে। গ্রেফতার হল তাঁকে। সূত্রের খবর, রাণেকে হেফাজতে নিতে রত্নগিরির পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছে রত্নগিরি আদালত। জানা গিয়েছে, নাসিকের পুলিশ কমিশনার দীপক পাণ্ডে জানিয়েছেন, পুলিশের একটি দল আগামী দু’ঘণ্টার মধ্যেই চিপলুন পৌঁছবে।
উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত কোঙ্কণ এলাকায় ‘জন আশীর্বাদ র্যালিকে কেন্দ্র করে। সেখানে অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবকে আক্রমণ করেন রানে। তিনি বলেছিলেন, ‘দেশের কততম স্বাধীনতা বর্ষপূর্তি সে সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানেন না। এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়। বক্তৃতার সময় তাঁকে জেনে নিতে হচ্ছে স্বাধীনতার কত বছর হল!’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘যদি আমি সেখানে উপস্থিত থাকতাম তা হলে তাঁকে একটা চড় মারতাম।’
এই মন্তব্যের জেরেই রাণের বিরুদ্ধে একসঙ্গে ৪ টি এফআইআর দায়ের করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ ও ৫০৫ ধারায় মামলা দায়ের করা হয় রাণের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে মুম্বই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাড়ির বাইরে জড় হয়ে বিক্ষোভ দেখান শিব সেনার সদস্যরা। মহারাষ্ট্রের নাসিকেও সাইবার ক্রাইম বিভাগে শিবসেনার অভিযোগের ভিত্তিতে এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। রাণেকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন পুলিশ কমিশনার দীপক পাণ্ডে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে গ্রেফতার করার জন্য ডিসিপি সঞ্জয় বারকুণ্ডের নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয়। তাঁরাই রাণের বাড়ি গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গ্রেফতারি পরই কার্যত রাজনৈতিক সংর্ঘষে রণক্ষেত্রের আকার নিয়েছে মুম্বই, পুণে-সহ মহারাষ্ট্রের একাধিক এলাকা। বিজেপি ও শিবসেনা সমর্থকদের মধ্যে ইট ও লাঠিবৃষ্টি চলছে মুহুর্মুহু। নারায়ণ রাণের তীব্র সমালোচনা করেছে শিবসেনা। মুম্বই সহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পোস্টার দেওয়া হয়। তাঁকে ‘মুরগি চোর’ আখ্যাও দেওয়া হয়। আসলে বহু বছর আগে যখ তিনি শিব সেনায় ছিলেন তখন চেম্বুরে একটি মুরগির দোকান ছিল রাণের। সে কথা উল্লেখ করে তাঁকে ‘মুরগি চোর’ বলে কটাক্ষ করেছে শিবসেনা। রাণে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন বলে দাবি করেছেন শিবসেনা সাংসদ বিনায়ক রাউত।