সাংবাদিক বৈঠকে একাধিক প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। নীতি আয়োগ কোন সাংবিধানিক সংস্থা নয়। তাহলে কেন তারা ঠিক করবে যে কোন কোন সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরন হবে? ১৪০ কোটি মানুষের দেশে এত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংসদে আলোচনা হল না কেন? সুখেন্দুবাবু বলেন, সরকারি সম্পত্তিকে সময়ভিত্তিক লিজ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি, সংস্থাগুলির বেসরকারিকরণৈর খতিয়ানও এদিন তুলে ধরেন সাংসদ।
• ২৬৭০০ কিলোমিটার রাস্তা বেসরকারি হাতে চলে গেছে।
• ৪০০ টি স্টেশন এবং ১৫০ টি ট্রেনও এখন বেসরকারি হাতে।
• ৪২৩০০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সংযোগকারী লাইন বেসরকারি হাতে চলে যাচ্ছে।
• গ্যাস অথরিটি ইন্ডিয়া লিমিটেডের ৮০০০ কিলোমিটার পাইপলাইন বেসরকারি হাতে যাচ্ছে।
• কেন্দ্রীয় সরকারের পাওয়ার জেনারেশন সংস্থাগুলিও বেসরকারি হাতে চলে যাচ্ছে।
• বিএসএনএল- এর টাওয়ার যাচ্ছে বেসরকারি সংস্থার কাছে।
• ১৬০ টি কোল মাইনিং প্রজেক্ট এবং অন্যান্য খনিজ প্রজেক্টের বেসরকারিকরন হচ্ছে।
• ২১ টি বিমানবন্দর এবং ৩১ টি বন্দরকেও বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
• কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ দুটি স্টেডিয়ামও চলে যাচ্ছে বেসরকারি হাতে।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, সরকারের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরে এর থেকে ৬ লক্ষ কোটি টাকা আদায় করা। বিজেপিকে কটাক্ষ করে সাংসদ বলেন, “এই সরকারের আয়ু ৪ বছর নেই। ২০২৪- এর মে মাসেই সরকারের আয়ু শেষ। তারপর জনগণ ঠিক করবেন কোন সরকার আসবে। চার বছর পরে কী হবে না হবে ভেবে এখন কেন সরকারি সংস্থাগুলিকে বিক্রি করে দিচ্ছে? সাংসদ এও জানান যে সড়কের বেসরকারিকরণ হলে ক্ষতিগ্রস্থ হবে বাংলাও। কারণ এতে বাংলার কিছু রাস্তাও রয়েছে। সুখেন্দুবাবু জানান, “ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলেও রেল বেসরকারি হাতে ছিল। তখন রেল ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। ইংল্যান্ডেও এতদিন বেসরকারি হাতে রেল থাকায় তার বেহাল অবস্থা ছিল। সেখানকার সরকার সদ্য তা অধিগ্রহন করার কথা ভাবছে। এসব দেখেও কেন্দ্র সরকার কীভাবে রেলকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে?”