এবার আদিবাসীদের শিক্ষার উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজ্যে অন্তত ৮০০ স্কুল তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এর মধ্যে সাঁওতালিদের জন্যই ৫০০ স্কুল তৈরি করা হবে। সোমবার এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্ন সভাঘরে আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়। তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় বসার পর এই প্রথম পর্ষদের বৈঠক হল। এদিন বৈঠকের পরে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমরা সাঁওতালি স্কুল ছাড়াও ২০০ রাজবংশী স্কুল, ১০০ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়াও কয়েকটি কামতাপুরী, হিন্দি মিডিয়াম ও লেপচা স্কুলও খোলা হবে। আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য তৃণমূল জমানায় বাজেট বরাদ্দ ছ’গুণ বেড়েছে। ‘জয় বাংলা, জয় জোহর’ পেনশন প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আদিবাসীরা উপকৃত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, বৈঠকে যাঁরা আদিবাসী নন, তাঁরাও জাল সার্টিফিকেট দেখিয়ে কাস্ট সার্টিফিকেট পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। বিধায়ক রাজীব লোচন সোরেন ও সমাজকর্মী ডাঃ শিবশঙ্কর সোরেনও কাস্ট সার্টিফিকেট জাল হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে ওই অভিযোগের সমর্থনে প্রমাণ হিসেবে কাগজপত্র নিয়ে এসেছিলেন বীরবাহা হাঁসদা। ওই দপ্তরের সচিব সঞ্জয় থাড়ে বলেন, ওই সব ভুয়ো সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়া হবে। সঙ্গে সঙ্গে হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, তদন্ত করে কোনও সার্টিফিকেট বাতিল করবেন না। প্রতিটি অভিযোগ আগে ক্রস চেক করতে হবে। সেই সব অভিযোগের তদন্ত করে দেখতে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, লোধা-শবরদের জন্য আলাদা সেল তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে তাদের পশুপালন, ঔষধি গাছ লাগানো, মৌমাছি পালন সহ আত্মনির্ভর করার সবরকম পরিকল্পনা নেওয়া হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে জঙ্গলমহলের সব বাড়িতে ট্যাপ ওয়াটার পাঠানোর প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত, কাল বুধবার তফশিলি জাতি-উপজাতিদের উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী।