মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বাংলা থেকে একপ্রকার পাততাড়ি গুটিয়েছেন। সব্যসাচী দত্ত দলে থেকেও নেই। অরবিন্দ মেনন মন দিয়েছেন ঘর-সংসারে।
তা হলে দুর্গাপুজো করবেন কারা! চিন্তা বাড়ছে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের। গত বছর সল্টলেকের ইজেডসিসি-তে এঁরাই ঢাকঢোল পিটিয়ে দুর্গাপুজো করেছিলেন বিজেপির ব্যানারে। মণ্ডপে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী ডোনার নৃত্যানুষ্ঠান, বাউল মেলা, নামীদামি শিল্পীদের নিয়ে চারদিন ধরে জলসা, প্রতিদিন দুপুরে ভূরিভোজ। তার উপরে ষষ্ঠীর দিন পুজো মণ্ডপে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভার্চুয়াল ভাষণ। সব মিলিয়ে সে এক এলাহি আয়োজন!
কিন্তু এ বছর কী হবে? জৌলুস ছেঁটে নমো-নমো করে পুজো সারলে লোকে যে খোঁটা দেবে! আবার গত বছরের মতো আয়োজন করাও চাট্টিখানি কথা নয়। রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ নেতার আক্ষেপ, ‘ইজেডসিসি কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠান হলেও সেখানে দুর্গাপুজোর অনুমতি পেতে রীতিমতো কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল। কৈলাসজি, মুকুল রায়রা উদ্যোগ না-নিলে ছাড়পত্র মিলত না। এ বছর সে সব ঝক্কি কে সামলাবেন? তা ছাড়া তখন বিজেপির পালে হাওয়া ছিল। কর্মীদের জোশ ছিল। তারকাদের আনাগোনা ছিল। সব মিলে পুজো জমে গিয়েছিল। এ বছর তো ঢাকি জোগাড় করতেই নেতাদের ছুটতে হবে!’
রীতি অনুযায়ী একবার দুর্গাপুজো শুরু করলে টানা অন্তত তিন বছর করতেই হয়। ফলে পুজো বন্ধ করে দিতেও ভরসা পাচ্ছেন না রাজ্য বিজেপির অনেকে। তাঁদের আশঙ্কা, তিন বছর পুজো না-করলে যদি অমঙ্গল হয়? দলের এক প্রবীণ নেতার উদ্বেগ, ‘এমনিতেই আমাদের শনির দশা কাটছে না। তার উপরে আবার মা দুর্গা বিরাগভজন হলে বিপদের আর শেষ থাকবে না। গত বছর পার্টির অনেকে পইপই করে দলীয় উদ্যোগে পুজো করতে নিষেধ করেছিলেন। কৈলাসজিরা পাত্তা দেননি। মায়ের পুজো যখন শুরু হয়েছে, তিন বছর করতেই হবে। ঘট পুজো হলেও করতে হবে।’