অবশেষে আতঙ্ক থেকে মুক্তি। সুস্থ অবস্থায় আফগানভূমি ছেড়ে দেশে ফিরলেন নিমতার শিক্ষক তমাল ভট্টাচার্য। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও নিমতার বাড়িতে পৌঁছননি তিনি। তবে ছেলে সুস্থ শরীরে দেশে ফিরেছেন সেই খবরেই নিশ্চিন্ত ভট্টাচার্য দম্পতি। কতক্ষণে সন্তানকে দেখবেন, সেই অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন তাঁরা। নিমতার ওলাইচণ্ডীতলার বাসিন্দা তমাল ভট্টাচার্য। গত মে মাসে আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন শিক্ষকতার চাকরি নিয়ে।
সেখানে যাওয়ার পর থেকেই অশান্তির আঁচ পেলেও পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হয়ে উঠবে তা বুঝতেও পারেননি তমালবাবু। চলতি মাসে চোখের নিমেষে কার্যত গোটা আফগানিস্তান দখল করে নেয় তালিবানরা। তাদের হাত থেকে বাঁচতে কোনওরকমে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন সকলেই। তাঁদের মধ্যে আফগানিরা যেমন রয়েছেন তেমনই রয়েছেন এরাজ্যের একাধিক বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যেই একজন তমালবাবু।
তমাল জানিয়েছেন, প্রথম কয়েকদিন বন্দি থাকার পর ভারতীয় দূতাবাসের মাধ্যমে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু প্রতি পদক্ষেপে বাঁধা পেতে হয়। শুক্রবার রাত ১১ টা নাগাদ প্রায় ২০০ ভারতীয়র সঙ্গে বিমানবন্দরে পৌঁছন তমাল। কিন্তু সরকারি নথি না দেখাতে পারায় তাঁকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। রাত কাটে সেখানেই। শনিবার গভীর রাতে অবশেষে তাঁকে উদ্ধার করে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান। বর্তমানে নিরাপদে তিনি। তবে তালিবানি তাণ্ডবের আতঙ্ক যেন তাড়া করছে তাঁকে।
ছেলে আফগানভূমে আটকে পড়ায় ঘুম উড়েছিল নিমতার বাসিন্দা ভট্টাচার্য দম্পতির। ছেলেকে আদৌ আর দেখতে পাবেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়। মনে জাঁকিয়ে বসেছিল ভয়। ওদিকে ওই দেশ থেকে বেরতে পারবেন কি না, তা বুঝে উঠতে পারছিলেন না ওই শিক্ষক। অবশেষে স্বস্তি। শেষমেশ ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানে দেশে ফিরলেন তমাল। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দিল্লীতে রয়েছেন তিনি। শীঘ্রই ফিরবেন নিমতায়।