আর্থিক তছরূপের অভিযোগে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। পুরসভার বিভিন্ন প্রকল্প থেকে তিনি প্রায় ১০ কোটি টাকা নয়ছয় করেছেন বলে অভিযোগ। তার জেরেই রবিবার সকালে রাজ্যের প্রাক্তন বস্ত্র ও আবাসন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ।
মন্ত্রী থাকার পাশাপাশি প্রায় ৩৪ বছর ধরে বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পদেও দায়িত্ব সামলেছেন শ্যামাপ্রসাদ। অভিযোগ, সেই সময় ৫৫টি প্রকল্পের টেন্ডার হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।এই নিয়ে মহকুমা শাসকের কাছে রিপোর্ট দেন চিফ ভিজিল্যান্স অফিসার। তার ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত। দেখা যায়, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আমলে পুরসভায় প্রায় ১০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপ হয়েছে।
সম্প্রতি পুলিশে এই আর্থিক তছরুপের অভিযোগ দায়ের করেছেন বিষ্ণুপুরের এসডিও কুতুবউদ্দিন খান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই এদিন সকালে বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিনই তাঁকে আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে, গত ডিসেম্বরে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদানের পরপরই বাঁকুড়ার বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ও সেই পথেই হাঁটেন। শুভেন্দুই তাঁর রাজনৈতিক পথপ্রদর্শক, একথা ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্পর্শ ত্যাগ করেছিলেন তিনি। যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু একুশের ভোটে প্রার্থী হতে পারেননি।
এরপরই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, আগের দিন রাতে যিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তন্ময় ঘোষ নামে সেই ব্যক্তিকে বিষ্ণুপুর থেকে বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছে। কোটি টাকায় সেই টিকিট বিক্রির অভিযোগ করেছিলেন শ্যামাপ্রসাদ। এরপরই জল্পনা ছড়ায়, তবে কি পুরনো দলে ফিরছেন শ্যামাপ্রসাদ? সেই চেষ্টার কসুর করেননি তিনি। কিন্তু তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে তেমন কোনও সাড়াই মেলেনি। এবার সরাসরি গ্রেফতারই হয়ে গেলেন তিনি।