একুশের ভোটযুদ্ধে বিজেপিকে রুখে দিয়ে রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। আর তারপরেই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে শুরু হয়েছে অন্যান্য রাজ্যের সংগঠন বৃদ্ধির চেষ্টা। ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে ২০২৩ সালে। তাই ইতিমধ্যেই বিপ্লব দেবের রাজ্যে সংগঠন তৈরি এবং প্রসারে নজর দিয়েছে দল। তবে হোটেল ও গাড়ি নিয়ে সমস্যায় সেখানে জেরবার তৃণমূল নেতারা।
হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করা যাবে না। বাধা এসেছিল আগরতলার পাঁচ তারা হোটেল থেকে। এবার সেই হোটেল থাকার জন্যে ঘর দিতেও রাজি নয় বলে অভিযোগ করছেন তৃণমূল নেতারা। সায়নী, ঋতব্রত, বিশ্বজিৎ দেব অভিযোগ করেছেন তাঁদের হোটেলের বাইরে ক্রমাগত বাইক বাহিনী ঘুরে বেড়িয়েছে। তাদের একসঙ্গে খেতে অবধি বসতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকী নানা ভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে হোটেল সন্ত্রাস ইস্যুর অভিযোগ সামনে রেখেই ত্রিপুরার জন্যে প্রচার শুরু করছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল। আর এই প্রচারে হাতিয়ার করা হয়েছে বিজেপি বিধায়ক অরুণ ভৌমিকের বক্তব্যকে। যেখানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সাথে এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপি বিধায়ক নিদান দিয়েছেন, তৃণমূল নেতারা বিমানবন্দরে নামলেই তাদের ওপর তালিবানি কায়দায় আক্রমণ চালাতে হবে।
তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বলছে তালিবানদের থেকে দেশের মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে আসবে। কেন্দ্রের সেই শাসক দলের নেতা এখন আবার অন্যদিকে বলছেন তালিবানি কায়দায় তৃণমূলের ওপর আক্রমণ করছেন।’ রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘বিজেপির যা বক্তব্য তা হল অসাড় যুক্তি। হোটেলে না থাকতে দেওয়ার সংস্কৃতি নেই৷ এখানে সকলে সমালোচনা করতে পারেন৷ ত্রিপুরা যে সংস্কৃতি দেখাচ্ছে। নেতারা বলছে বিমানবন্দরে নামলে তালিবানি কায়দায় আক্রমণ করুন। আফগানে যা তালিবান, ত্রিপুরায় তাই বিজেপি। বিজেপি নেতাদের বলব তালিবান শাসন নিয়ে বলার আগে আপনাদের বিধায়ক অরুণ ভৌমিকের বক্তব্যটা শুনুন। উনি বলছেন তালিবানি কায়দায় আক্রমণ করুন। অন রেকর্ড বিজেপি করেছে।’