করোনা এবং লকডাউনের জেরে বিগত দেড় বছর ধরে রাজ্যের কোষাগারে মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়েছে। তার মধ্যেও জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে যাবতীয় পদক্ষেপ নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। শুধু তাই নয়, শিক্ষা ক্ষেত্রেও এতটুকু ফাঁক রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। তার প্রমাণ পড়ুয়াদের বৃত্তি। হিসেব অনুযায়ী, গত অর্থবর্ষে রাজ্যে ৪৬ লক্ষের বেশি ছাত্রছাত্রীকে বিভিন্ন স্কলারশিপের আর্থিক সাহায্য করেছে রাজ্য সরকার।
উল্লেখ্য, ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ৩৭ লক্ষ ৫৫ হাজার ১৬৫ জনকে স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস, প্রি ম্যাট্রিক, পোস্ট ম্যাট্রিক সহ মোট পাঁচটি স্কলারশিপের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। বছর শেষের পর্যালোচনা রিপোর্ট অনুযায়ী, ১২৪ শতাংশ বেশি পড়ুয়ার কাছে এই সাহায্য পৌঁছে দিয়েছে রাজ্য সরকার। টার্গেট বেঁধে দেওয়া হয়েছিল প্রত্যেক জেলাকে। আর হিসেব বলছে, সব জেলাতেই ১০০ শতাংশের বেশি ছাত্রছাত্রীকে কোনও না কোনও স্কলারশিপের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যেমন কালিম্পং এবং ঝাড়গ্রামে লক্ষ্যমাত্রার নিরিখে প্রায় ২০০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী এসেছেন বৃত্তির আওতায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ওই অর্থবর্ষে পাঁচটি স্কলারশিপ মিলিয়ে ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ৯০০ জনের টার্গেট দেওয়া ছিল। আর রিপোর্ট অনুযায়ী মঞ্জুর হয়েছে ৬ লক্ষ ৮ হাজার ৯০৬ জনের আবেদন। উত্তর ২৪ পরগনা, পুরুলিয়াতেও যথাক্রমে ১৪১ ও ১৩২ শতাংশ পড়ুয়া বৃত্তির সুবিধা পেয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যজুড়ে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে প্রি ম্যাট্রিক স্কলারশিপের জন্য। তারপরই পোস্ট ম্যাট্রিক স্কলারশিপ। তবে লক্ষ্যমাত্রার অনুপাতে মুর্শিদাবাদে সব থেকে বেশি ছাত্রছাত্রী রাজ্য সরকারের বৃত্তির সুবিধা পেয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা রয়েছে তার ঠিক পরের স্থানেই।