ত্রিপুরায় ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’! আগরতলায় যে হোটেলে ছিলেন তৃণমূল নেতা-নেত্রী, সমস্যা পড়েছেন সেই হোটেল কর্তৃপক্ষ। এ রাজ্যের শাসকদলের দাবি, জিএসটি না দেওয়ার অভিযোগে হোটেলে হানা দিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এমনকী, আগামীদিনে দলের নেতা-নেত্রীদের থাকতে না দেওয়ার জন্য হোটেল মালিককে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে!
বিধানসভা ভোটের আর বেশি দেরি নেই। বাংলার বিপুল জয়ের পর এবার ত্রিপুরা থেকে বিজেপিকে উৎখাত করার লক্ষ্যে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। ঘনঘন পড়শি রাজ্যের যাচ্ছেন শাসকদলের মন্ত্রী, সাংসদরা। গতকাল যখন তিনবার তৃণমূলের অপরূপা পোদ্দারদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে, তখন রেহাই নেই হোটেল কর্তৃপক্ষেরও।
আগরতলায় গিয়ে হোটেল পোলো-টাওয়ারে উঠেছিলেন তৃণমূলের প্রথমসারির নেতারা। এই মহূর্তে সেই হোটেলে রয়েছেন দলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, ‘হোটেল কর্তৃপক্ষকে উপর থেকে এমনই লজ্জাজনক চাপ দেওয়া হচ্ছে যে, কোনও আলোচনার জন্য ৪-৫ মিলে একসঙ্গে বসতেও পারছি না! খেতে গেলেও আটকে দিচ্ছেন তাঁরা। খাবারে অর্ডার দেওয়া হলে জোর করে পুরোটাই বাতিল করা হচ্ছে। আজ দুপুরে আড়াই ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়’। কেন? রাখঢাক না করে সায়নী জানিয়েছেন, ‘আমরা হোটেল কর্তৃপক্ষকে কোনও দোষ দিচ্ছি না। বিজেপির তরফে তাদের অফিসিয়াল মেল করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তৃণমূল যেন ত্রিপুরায় কোনও সংগঠন গড়ে তুলতে না পারে’! এমনকী, হোটেলের নির্মাণ নিয়েও অভিযোগ তুলেছে আগরতলা পুরসভা!
ত্রিপুরার পরিস্থিতির উপর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বললেন, ‘আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। এতদিন ধরে বিধানসভা নির্বাচনে সারা ভারতবর্ষ থেকে বিজেপির নেতা-মন্ত্রী-সমর্থকরা বাংলার ছোট-বড়-মাঝারি হোটেলে থাকলেন, কই কেউ তো বারণ করতে যায়নি! বিজেপি নেতাদের লজ্জা করছে না’!