কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ডিসেম্বর জানুয়ারিতে আয়োজিত হতে পারে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২১। ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছর জানুয়ারিতে আয়োজিত হতে পারে বইমেলা।
প্রতিবছর জানুয়ারি মাসেই আন্তর্জাতিক বইমেলার আসর বসে। এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন বুক সেলার্স অ্যান্ড পাবলিশার্স গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ বিলম্বের পরও চলতি বছরে এখনও আয়োজন করা সম্ভব হয়নি বইমেলার।
কার্যত চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় রয়েছেন অজস্র বইপ্রেমীরা। সুখবরের আশায় দিন গুনছেন সকলে। শেষ পর্যন্ত বইমেলার আয়োজন নিয়ে ডবল ধামাকার ইঙ্গিত দিল গিল্ড। তবে কি ২০২১ এবং ২০২২ সালের বইমেলা একসঙ্গে আয়োজিত হবে? ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছর জানুয়ারিতে আয়োজিত হতে পারে বইমেলা। তবে এখনও সঠিকভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। সেই সময় মহামারী পরিস্থিতি কেমন থাকে, তার উপর গোটা বিষয়টা নির্ভর করছে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, গিল্ডের কাছে বইমেলা আয়োজনের প্রস্তুতি মোটামোটি সারাই রয়েছে। যদিও মহামারী সংক্রান্ত একাধিক নির্দেশিকার জেরে আয়োজন ক্রমশই পিছিয়ে গিয়েছে। বইমেলার দিনক্ষণ নির্ধারিত হলে খুবজোর এক মাসের মধ্যেই সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করে ফেলা সম্ভব বলেও জানাচ্ছে গিল্ড কর্তৃপক্ষ। মূলত কোভিড গ্রাফের ওঠানামার উপর নজর রেখেই ডিসেম্বর-জানুয়ারির কথা ভেবে প্রস্তুতি নিচ্ছে গিল্ড।
প্রতিবছর জানুয়ারি মাসেই আন্তর্জাতিক বইমেলার আসর বসে। ২০২১ সালে বইমেলার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। সে ক্ষেত্রে কি তবে ২০২২ সালে দু’বছরের বইমেলা একত্রে আয়োজিত হবে? এ প্রসঙ্গে ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দু’বছরের বইমেলা একত্রে হলে ক্ষতি কি? একসময় মনে হয়েছিল যেন পণ্ড হতে বসেছে ২০২১ সালের আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা। পূর্বে ঘোষণা করলেও জুলাই মাসেও সম্ভব হয়নি বইমেলার আসর। এমনকী আগামী এক-দু’মাসের মধ্যেও বইমেলার আয়োজন করার কোনও পরিস্থিতি নেই বলেই জানিয়েছিল গিল্ড।
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চোখরাঙানির জেরে গোটা বিশ্বের অধিকাংশ শহরেই নতুন করে শুরু হয়েছে লকডাউন। ফোকাল থিম বাংলাদেশে চলছে কঠোর লকডাউন। সর্বপরি পশ্চিমবঙ্গেও বিধিনিষেধ জারি থাকায় কোনওভাবেই চলতি মাসে বইমেলার আয়োজন সম্ভব হচ্ছেনা এই মুহূর্তে। তবে এত সবের পরেও জানুয়ারি মাসে দু’বছরের বইমেলা একসঙ্গে হওয়ার ইঙ্গিতে খুশি বইপ্রেমীরা। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন প্রকাশকরাও।